নির্বাচনে টাকা দিলেই জনকল্যাণ হয় না! এমনটাই দাবি করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলী মনোহর জোশী। পাশাপাশি আর্থিক বৈষম্য দূর করার জন্য বড় রাজ্যগুলিকে ভেঙে ছোটো ছোটো রাজ্যে পরিণত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ভোটে জেতার জন্য এখন প্রতিটা রাজ্যেই একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়। যার মাধ্যমে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসিক ভাতা জমা পড়ে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। আবার সদ্য বিহার নির্বাচনের আগে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ডে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়াও হতে পারে। তবে এগুলির মাধ্যমে জনকল্যাণ হয় না বলেই জানান মুরলী মনোহর জোশী।
ভারতের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এবং প্রাক্তন আইনসচিব জি ভি জি কৃষ্ণামূর্তির ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য বিজেপি নেতা বলেন, সংবিধান নাগরিকদের ভোটাধিকার দিয়েছে বটে, কিন্তু দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বৈষম্য গণতান্ত্রিক সমতার ধারণাকে ক্ষুণ্ণ করছে। কেবল নির্বাচনের আগে টাকা বিতরণ করাকে কল্যাণমূলক পদক্ষেপ বলা যায় না এবং এটি বর্তমান নির্বাচনী আলোচনা ও অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
কর্ণাটক, বিহার, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক শক্তির সঙ্গে মরুভূমি, পাহাড়ি অঞ্চল বা উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের সামর্থ্যের বিশাল পার্থক্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “সব নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকার আছে, কিন্তু সবার অর্থনৈতিক শক্তি তো সমান নয়। অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার না থাকলে রাজনৈতিক অধিকারও অসম্পূর্ণ।”
জোশী বলেন, দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের সুষম বন্টন এবং সমতাভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন ব্যবস্থা প্রয়োজন। দেশে প্রায় ৭০টি ছোট ছোট রাজ্য তৈরি হলে সমান জনসংখ্যা, সমান অর্থনৈতিক শক্তি ও সমান রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে।
লোকসভায় উত্তর প্রদেশের আসন সংখ্যা বেশি হলেও তার অর্থনৈতিক শক্তি তুলনামূলকভাবে কম, আর তামিলনাড়ু ও কেরালার মতো রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেশি হলেও আসন সংখ্যা কম। এটিকেই ‘বৈষম্য’ বলে দাবি করেন জোশী।