
টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত আসাম। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ছয় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নামার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ। ধসে চাপা পড়ে কামরূপ মেট্রোপলিটনে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘন্টায় টানা বৃষ্টির জেরে আসামের ছয় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষকে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কামরূপ মেট্রোপলিটন, কামরূপ, কাছাড়, ধেমাজি, লখিমপুর এবং গোলাঘাট। তথ্য অনুযায়ী, এই বন্যা পরিস্থিতির জেরে ২,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার নগর বিষয়ক মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া জানিয়েছেন, গুয়াহাটির উপকণ্ঠে বোন্ডা এলাকায় ভূমিধসে তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্যের আবহাওয়া দফতর আজও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে। চিরাং, বাক্সা, বরপেটা, বঙ্গাইগাঁও, বাজালি, তামুলপুর, দারাং এবং উদলগুড়িতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শুক্রবার জানিয়েছেন, রাজ্যের ১৮টি জেলায় 'রেড অ্যালার্ট' জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে অরুণাচল প্রদেশ এবং মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে এই রাজ্যে।
রাজ্যের এই পরিস্থিতির জেরে শনিবার কামরূপ মেট্রোপলিটান এবং কামরূপে সমস্ত সরকারি কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখা হয়।
রবিবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে টানা ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্বের আর এক রাজ্য অরুণাচল প্রদেশও। শুক্রবার রাতে অরুণাচল প্রদেশের বানা-সেপ্পা রোডে ধস নেমেছে। তার জেরে একটি গাড়ি খাদে পড়ে। প্রাণ হারান গাড়ির মধ্যে থাকা সাত জনই। নিহতদের মধ্যে রয়েছে চার শিশু এবং এক অন্তঃসত্ত্বা।
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণের রাজ্য কেরলও। সময়ের আট দিন আগে, গত শনিবার কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছে। তার পর থেকেই চলছে লাগাতার বৃষ্টি। ৩ জুন, অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এই রাজ্যে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন