
আইএএস আধিকারিককে 'পাকিস্তানি' বলে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটকের বিজেপি নেতা তথা বিধান পরিষদের সদস্য এন রবিকুমার। তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কর্ণাটক আইএএস অ্যাসোসিয়েশন।
সম্প্রতি কালাবুর্গী জেলার ডেপুটি কমিশনার ফৌজিয়া তারানুমকে “পাকিস্তান থেকে এসেছেন” বলে কটাক্ষ করেন ওই বিজেপি নেতা। এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। কালবুর্গী পুলিশ ইতিমধ্যেই রবিকুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।
সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কর্ণাটক আইএএস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, “আইএএস মিসেস ফৌজিয়া তারানুম, সততা ও নিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর জনসেবার রেকর্ড দৃষ্টান্তমূলক। তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরণের মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অযৌক্তিক এবং অপমানজনক।”
সংগঠনটি আরও বলেছে, এ ধরণেরর মন্তব্য শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তাদের সম্মানহানি করে না, বরং তাঁদের কাজের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে এবং মানসিক আঘাতের কারণ হয়। অ্যাসোসিয়েশন রবিকুমারের নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
এই বিবৃতিটি সর্বভারতীয় আইএএস অ্যাসোসিয়েশনও সমর্থন করেছে। উল্লেখযোগ্য, এই মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সংস্থাটি কোনও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হওয়া হয়রানির বিরুদ্ধে সরব হলো। ১১ মে তারা বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির বিরুদ্ধে হওয়া অনলাইন ট্রোলিংয়ের নিন্দা করেছিল।
প্রসঙ্গত গত ২৪ মে, “কালবুর্গী চলো” কর্মসূচিতে এক জনসভায় বিজেপি নেতা রবি কুমার বলেন, “আমি জানি না কালাবুর্গীর ডিসি পাকিস্তান থেকে এসেছেন নাকি এখানকারই কোনও আইএএস কর্মকর্তা। আপনারা যেভাবে করতালি দিচ্ছেন আমার এই কথা শুনে, তাতে মনে হচ্ছে তিনি সত্যিই পাকিস্তান থেকে এসেছেন।”
এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান কর্ণাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। তিনি বলেন, “নিজের দেশের নাগরিকদের সম্পর্কে এমন কথা বলা একজন জনপ্রতিনিধির পক্ষে লজ্জাজনক। তাঁকে কি আমরা প্রকৃত ভারতীয় বলব?”
যদিও ডেপুটি কমিশনার ফৌজিয়া তারানুম এবিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। উল্লেখ্য, তিনি ২০২৩ সালের বিধানসভা এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় অবদানের জন্য ‘সেরা নির্বাচনী অনুশীলন’ পুরস্কারপ্রাপ্ত ২২ জন আইএএস কর্মকর্তার মধ্যে একজন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন