
গত পাঁচ মাসে চেন্নাইয়ে ব্যাপকহারে বেড়েছে আর্থিক প্রতারণার পরিমাণ। চেন্নাই পুলিশের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ২১৮.৫ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। এছাড়া এবছর এখনও পর্যন্ত অভিযোগের সংখ্যা ৪,৩০০ ছাড়িয়েছে। গত বছর যে সংখ্যাটা ছিল ৩,৮৮৮টি।
চেন্নাই পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণা হওয়া অর্থের মধ্যে ৪৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মাত্র ১০.৪৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ১৬২ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৬.৫২ কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের কারণে চলতি বছর বেশি পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা গেছে। উল্লেখ্য, মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইমের পোর্টালে অভিযোগ করাই টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য যথেষ্ট।
একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "প্রতারণার পর প্রথম কয়েক ঘন্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করলে চুরি যাওয়া অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং উদ্ধার করা অনেক সহজ হয়।"
তথ্য অনুসারে, চলতি বছরে আর্থিক প্রতারণা মামলায় ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪২ জন্য তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এবং বাকি ১৭ জন অন্য রাজ্যের। প্রতারণার মধ্যে রয়েছে অনলাইন জালিয়াতি, ভুয়ো চাকরির প্রস্তাব ইত্যাদি।
এদিকে চেন্নাইতে এই আর্থিক প্রতারণা রুখতে একাধিক জনসচেতনামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চেন্নাই পুলিশ। নগর পুলিশ কমিশনার এ. অরুণ জনসাধারণকে সতর্ক থাকার এবং যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে অবিলম্বে রিপোর্ট করার জন্য আবেদন করেছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আর্থিক প্রতারণায় অভিযোগের জন্য ১৯৩০ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন অথবা www.cybercrime.gov.in এর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। অথবা নিকটবর্তী সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন।