

ঘটনার চারদিন পর অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন হাথরস কাণ্ডের সেই ভোলে বাবা ওরফে সুরজ সিং পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি। পাটনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, হাথরস কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকরকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাথরস কাণ্ডে শোক প্রকাশ করে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা। তিনি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “২ জুলাই যা ঘটেছে, তার পর আমি গভীর ভাবে ব্যথিত। প্রভু আমাদের এই কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে যাওয়ার শক্তি দিন। প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে হবে। আমার বিশ্বাস, যাঁরা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন, যাঁরা প্রকৃত দোষী, তাঁদের শাস্তি হবে। আমি আমার উকিল এপি সিংহের মাধ্যমে মৃতদের পরিবার এবং আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কমিটির সদস্যদের অনুরোধ করেছি।“
এদিকে, এই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকরকে শুক্রবার রাতে নফজগড়ে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, তাঁর খোঁজে এক লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
অন্যদিকে, শুক্রবার হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্টের ঘটনায় নিহতদের কয়েকজনের পরিবারের সাথে দেখা করলেন রাহুল গান্ধী। এই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী প্রশাসনের ঘাটতির অভিযোগ তোলেন।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই হাথরসে সিকান্দরারাউ এলাকায় ভোলে বাবার সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ১২১ জনের। স্থানীয় সূত্রে খবর, ‘ভোলে বাবা’র জন্য ‘মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা অনুষ্ঠান কমিটি’র তরফে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ওই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। বুধবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। কিন্তু স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন