তামিলনাড়ুর বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান কে আর্মস্ট্রংকে চেন্নাইয়ে তাঁর বাড়ির সামনে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে চেন্নাইতে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দলের কয়েক জন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আর্মস্ট্রং। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী আচমকাই তাঁর উপর হামলা চালায়। বেশ কয়েকবার কোপ মারা হয় তাঁকে। তারপরেই সেখান থেকে পালিয়ে যান দুষ্কৃতিরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারের লোকজন তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিশ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে এই খুন তা এখনও জানা যায় নি। পূর্বের কোনও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই হত্যার যোগ থাকতে পারে বলেই মনে করছে পুলিশ। একে প্রতিশোধমূলক হত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর আরকট সুরেশ নামের এক গ্যাংস্টার খুন হয়েছিল। তার সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের যোগ থাকতে পারে। বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, খাবার ডেলিভারী বয় সেজে বিএসপি প্রধানের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
অন্যদিকে, আর্মস্ট্রংয়ের মৃত্যুর ঘটনার শোকপ্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "বিএসপির রাজ্য সভাপতি আর্মস্ট্রংয়ের হত্যাকাণ্ড মর্মান্তিক এবং গভীরভাবে বেদনাদায়ক। পুলিশ রাতারাতি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। আমি আর্মস্ট্রংয়ের দল, পরিবার, সকলের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই। আইন অনুযায়ী অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে।“
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই হত্যাকাণ্ডকে নৃশংস এবং ঘৃণ্য বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, দলের প্রধান মায়াবতী দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।
উল্লেখ্য, ৫২ বছর বয়সী আর্মস্ট্রং পেশায় আইনজীবী ছিলেন। ২০০৬ সালে চেন্নাই কর্পোরেশন কাউন্সিলের ভোটে জিতেছিলেন আর্মস্ট্রং। ২০০৮ সালে চেন্নাইতে বিএসপি প্রধান মায়াবতীর সাথে একটি মেগা সমাবেশের আয়োজন করার পর তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন