
শম্ভু সীমান্ত অঞ্চল থেকে ফের শুরু হল কৃষকদের দিল্লি মুখী জাঠা। শনিবার সকালে ১০১ জন কৃষকের একটি দল দিল্লি অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। ১০১ কৃষকের দিল্লিমুখী এই যাত্রাকে নিয়ে তৎপর হরিয়ানার বিজেপি সরকার। ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকারের পক্ষ থেকে আম্বালার ১২টি গ্রামে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা এবং বাল্ক এসএমএস পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখ থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার কৃষকরা দিল্লি অভিমুখে যাবার চেষ্টা করছেন। যদিও ডিসেম্বর ৬ এবং ৮ - এর আগের দুবারই তাঁদের দিল্লি যাবার পথ আটকে দেওয়া হয়েছে। এদিনও কৃষকরা যাতে হরিয়ানা সীমান্ত অতিক্রম করে দিল্লি ঢুকতে না পারে তাই নিরাপত্তা জোরাদার করা হয়েছে।
হরিয়ানার অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুমিতা মিশ্রর নির্দেশে আম্বালার ডাঙ্গেডেহরি, লেহগড়, মানকপুর, দাদিয়ানা, বারিঘেল, ছোটিঘেল, লারসা, কালু মাজরা, দেবী নগর, সাদ্দোপুর, সুলতানপুর এবং কাকরু গ্রামে মোবাইল ইন্টারনেট এবং বাল্ক এসএমএস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে হরিয়ানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের জানানো হয়েছে, দিল্লি প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়া গেলে তাঁরা দিল্লির অভিমুখে যেতে পারবেন না। কৃষকদের জাঠা আটকাতে আম্বালা জেলা প্রশাসন ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ধারা ১৬৩ অনুসারে আম্বালা জেলায় পাঁচ জন অথবা তার বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
ধর্নাস্থলেই ১৯ দিন ধরে অনশন করছেন কৃষক নেতা ডালেওয়াল। তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। তাঁর ওজন কমেছে বারো কেজি। এছাড়াও দীর্ঘ অনশনের কারণে তাঁর লিভার, কিডনি, হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা নজরে রাখছে এক এনজিও সংস্থার চিকিৎসক দল। এছাড়াও বৃহস্পতিবার সরকারি চিকিৎসকদের এক দল তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। যদিও ডালেওয়ালকে আন্দোলনকারী কৃষকরা ঘিরে রেখেছেন। যাতে কোনোভাবেই সরকারি কোনও কর্মী তাঁর কাছে না পৌঁছাতে না পারেন।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শম্ভু ও খানৌরি সীমান্তে নিজেদের অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা, কৃষি ঋণ মকুব, কৃষকদের জন্য পেনশন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা সহ একাধিক দাবিতে বার বার সরব হয়েছেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন