Haryana: নুহতে হিংসা ছড়ানোয় মদত! মনু মানেসরকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব কৃষক সংগঠন সহ অন্যান্যরা

এবার ধর্মকে একপাশে সরিয়ে রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে কাজ করবেন।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সৌজন্য - নিউজক্লিক

হরিয়ানার নুহ, গুরগাঁও-সহ একাধিক জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এবার গো-রক্ষক সংগঠন তথা বজরং দলের নেতা মনু মানেসরের গ্রেফতারির দাবি জানাল রাজ্যের বেশ কিছু কৃষক সংগঠন ও খাপ পঞ্চায়েত।

বুধবার সংগঠনগুলির একটি বৈঠক থেকে রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি করা হয়। পাশাপাশি, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মনু মানেসরকে গ্রেফতার করার দাবিও জানানো হয়। কিন্তু কে এই মনু মানেসর?

হরিয়ানা ও রাজস্থানে স্বঘোষিত গো-রক্ষক হিসেবে বজরং দলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন এই মনু মানেসর। গত ফেব্রুয়ারিতে রাজস্থানে তাঁর বিরুদ্ধে দুই মুসলিম যুবক নাসির এবং জুনেইদকে গরু পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ৩০ বছর বয়সী এই হিন্দুত্ববাদী নেতা কলেজে থাকতেই বজরং দলে যোগ দেন।

২০১৯ সালে গরু পাচারকারীদের তাড়া করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই প্রচারের আলোয় উঠে আসেন মনু। গত ৩১ জুলাই নুহতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি ধর্মীয় মিছিলের ডাক দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা জানান মনু। পাশাপাশি, নিজের অনুগামীদেরও বিপুল সংখ্যায় মিছিলে যোগ দিতে বলেন।

৩১ জুলাইয়ের ওই মিছিল থেকেই প্রথম হিংসা ছড়ায় নুহ এলাকায়। পরদিন হিংসার সেই আগুন ছড়িয়ে পরে গুরগাঁও-সহ অন্যান্য একাধিক জায়গায়। এই হানাহানির ঘটনায় ওইদিন নুহতে ৬ জন প্রাণও হারান যাদের মধ্যে ছিলেন পুলিশের ২ জন হোমগার্ডও। এখন মনু মানেসরের উপর অভিযোগ, নিজের অনুগামীদের নিয়ে ওই মিছিলে যোগ দিয়ে হিংসা ছড়ানোয় মদত দেন ওই হিন্দুত্ববাদী নেতা।

এখনও পর্যন্ত হরিয়ানার এই সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় ১১৩টি এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং ৩০৫ জনকে হানাহানির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০৬ জনকে হেফাজতে নিয়ে এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

বুধবার হরিয়ানার হিসারে বিপুল সংখ্যায় খাপ পঞ্চায়েত, কৃষক সংগঠনগুলি জমায়েত করে একটি ‘মহাপঞ্চায়েত’-এর আয়োজন করে। কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষান মজদুর ইউনিয়নের উদ্যোগেই এই ‘মহাপঞ্চায়েত’ বসে। বৈঠকে হিন্দু, মুসলিম, শিখ-সহ প্রায় সমস্ত স্থানীয় ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষই যোগ দেন।

বৈঠকে ঠিক হয়, এবার ধর্মকে একপাশে সরিয়ে রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে কাজ করবেন। তবে সম্প্রতি রেওয়ারি, ঝাজ্জর জেলার পঞ্চায়েত প্রধানদের লেখা চিঠি সমাজমাধ্যমে দেখা গিয়েছে। সেইসব চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই পঞ্চায়েতগুলি তাঁদের গ্রামে মুসলিম ব্যবসায়ীদের বেচা-কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ছবি প্রতীকী
Haryana: হরিয়ানা হিংসায় মৃত ৬, গ্রেপ্তার ১১৬ - শান্তি বজায় রাখার আবেদন মুখ্যমন্ত্রী খাট্টারের
ছবি প্রতীকী
Haryana: মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, দুর্নীতি ও অপরাধের শীর্ষে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা - অভিযোগ কংগ্রেসের

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in