Digital Arrest: পাঁচ দিন ধরে 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' গোটা পরিবারকে! হাতিয়ে নেওয়া হল কোটি টাকা

People's Reporter: অভিযোগকারী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। তাঁকে জানানো হয় বিএসএনএলের দফতরে দ্রুত যোগাযোগ করতে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী ছবি - সংগৃহীত
Published on

এবার ডিজিটাল গ্রেফতারির শিকার উত্তরপ্রদেশে নয়ডার পুরো পরিবার। পুরো পরিবারকে পাঁচ দিন ধরে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ করে রাখল সাইবার অপরাধীরা। পাশাপাশি, ওই পরিবারের থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা 'লুঠে' নেওয়ার অভিযোগ উঠল সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী ব্যক্তির নাম চন্দ্রভান পালীওয়াল। অভিযোগকারী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। তাঁকে জানানো হয় বিএসএনএলের দফতরে দ্রুত যোগাযোগ করতে। এমনকি, সিমকার্ড ব্লক করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।

অভিযোগকারী আরও জানিয়েছেন, কিছু সময় পরে আর একটি ফোন আসে। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে আইপিএস অফিসার হিসাবে পরিচয় দেন। জানানো হয়, মুম্বাইয়ের কোলাবা থানা থেকে ফোন করা হচ্ছে। ভিডিও কলও করেন ওই 'আইপিএস অফিসার'। চন্দ্রভানের অভিযোগ, ওই অফিসার জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ টি জায়গায় আলাদা আলাদা ভাবে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। এমনকি সিবিআই মামলাগুলির তদন্ত করছে বলেও জানানো হয়।

এরপরেই এক কোটি টাকার দাবি করে 'আইপিএস অফিসার'। এমনকি নির্ধারিত সময়ে টাকা না দিলে পুরো পরিবারকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। জানানো হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারীর পরোয়ানা জারি করার প্রস্তুতি চলছে। চন্দ্রভানের অভিযোগ, ভিডিও কল পাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকেও ডিজিটালভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারী থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজনীয় টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান চন্দ্রভান। পাঁচ দিনের মধ্যে কয়েক দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন অভিযুক্তরা বলে অভিযোগ।

ছবি - প্রতীকী
Lay Off: এক ধাক্কায় ৭০০ কর্মী ছাঁটাই ইনফোসিসের! টেক সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি NITES-র
ছবি - প্রতীকী
Kota: কোটায় আবারও আত্মঘাতী এক পড়ুয়া - কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in