

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে দলের ব্যাপক ভরাডুবির পর নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকেই আঙুল তুললেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বিহার নির্বাচন প্রথম থেকেই অস্বচ্ছ ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিহারে লজ্জাজনক পরাজয় হয়েছে বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধনের। আরজেডি ছাড়া আর কোনও দলই দুই অঙ্কের সংখ্যার আসন জিততে পারেনি। মোট ৬১টি আসনে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। জয় পেয়েছে মাত্র ৬টি আসনে। বাল্মিকীনগর, ছানপাতিয়া, ফরবেশগঞ্জ, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ এবং মনিহারি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। আরজেডি জিতেছে ২৫টি আসনে। সিপিআই(এম-এল) (এল) ২টি এবং সিপিআইএম জিতেছে ১টি আসনে। বিরোধী জোটের উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুকেশ সাহানির ভিআইপি খাতাই খুলতে পারেনি। এমনকি মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবও দীর্ঘ কয়েক রাউন্ড পিছিয়ে পড়েছিলেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অবশেষে জয়ী হয়েছেন তিনি। বিরোধী জোটের কোনও নেতাই এই ফলাফল বিশ্বাস করতে পারছেন না।
রাহুল গান্ধী বলেন, বিহারের লক্ষ লক্ষ ভোটার যাঁরা মহাজোটের উপর আস্থা প্রকাশ করেছেন, তাঁদের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিহারের এই ফলাফল সত্যিই আশ্চর্যজনক। আমরা এমন একটি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারিনি যা শুরু থেকেই স্বচ্ছ ছিল না।"
তিনি জানান, "এই লড়াই সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। কংগ্রেস পার্টি ও ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স এই ফলাফল গভীরভাবে পর্যালোচনা করবে এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য তাদের প্রচেষ্টা আরও কার্যকর করবে।"
বিহারে ভরাডুবি প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "আমরা বিহারের জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহার করে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য নিয়োজিত শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা নির্বাচনের ফলাফল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়ন করব।"
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আপনারা হতাশ হবেন না। আপনারা আমাদের গর্ব, সম্মান। আপনাদের কঠোর পরিশ্রম আমাদের শক্তি। আমরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কোনও খামতি রাখব না। আমরা সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে বাঁচানোর সংগ্রাম চালিয়ে যাব। এই লড়াই দীর্ঘ - এবং আমরা সম্পূর্ণ নিষ্ঠা, সাহস এবং সত্যের সাথে এটি লড়ব।"
গত নির্বাচনে বাম দলগুলি মোট ১৬টি আসন পেয়েছিল বিহারে। ১২টি আসনে জয়ী হয়েছিল সিপিআই(এম-এল) (এল)। ২টি করে আসনে জয়ী হয়েছিল সিপিআইএম এবং সিপিআই। তবে এবার ৩-এ নেমেছে তারা। সিপিআই(এম-এল) (এল)-র সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, "এই ফল অস্বাভাবিক। ২০২০ বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে যা ফল হয়েছিল, তার সাথে এবারে কোনও মিল নেই। এই ফলাফল গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন