

শুক্রবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগামে একটি পুলিশ স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সেই বিস্ফোরক বিস্ফোরণের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই পুলিশ এবং ফরেন্সিক দলের আধিকারিক। বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন তাঁরা।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর (DGP) নলিন প্রভাত জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রাজ্য তদন্ত সংস্থার এক কর্মকর্তা, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির তিন কর্মকর্তা, অপরাধ শাখার দুই আধিকারিক, দুই রাজস্ব আধিকারিক এবং দলকে সাহায্যকারী এক দর্জি রয়েছেন।
এছাড়াও ২৭ পুলিশ কর্মী, দুই রাজস্ব আধিকারিক এবং তিনজন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আহতদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (SKIMS) -এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অত্যন্ত সতর্কতার সাথেই সমস্ত পরীক্ষা পদ্ধতি পরিচালনা করা হচ্ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুক্রবার রাত ১১:২০ টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।“ ঠিক কী কারণে কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, গাফিলতি কার, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী সংগঠন জৈশ-ই-মহাম্মদের সদস্যদের আনাগোনা বেড়েছে, তা প্রথমে নজরে এসেছিল নওগাম থানার পুলিশেরই। এলাকায় জৈশ-ই-মহাম্মদ সংগঠনের নামে পড়া পোস্টার রহস্যও উন্মোচন করে নওগাম থানা। এরপর তদন্তে নেমে হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কেবল ফরিদাবাদ থেকেই ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়। পরীক্ষার জন্য তা নওগাম থানায় রাখা হয়েছিল। সেখানেই পরীক্ষা চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের পর একটি সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। থানার সামনের একটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সেটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, থানার মধ্যে আচমকা আগুন জ্বলে উঠল। বিস্ফোরণের অভিঘাতে থানার বন্ধ জানলা এক বার খুলে আবার বন্ধ হয়ে গেল। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন