

'চাকরি কবে হবে?' এই প্রশ্ন করতেই শিক্ষামন্ত্রীর ধমক খেতে হলো এক তরুণীকে। ওই তরুণী ভবিষ্যতে চাকরি পাবেন কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মহারাষ্ট্রের বীড়া শহরে। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে এক তরুণীকে ধমক দিতে দেখা যায় মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকারকে। সেই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থীদের সাথে আলোচনা করছিলেন একনাথ শিন্ডের মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকার। সেই সময় এক তরুণী মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, শিক্ষক নিয়োগে এত সময় লাগছে কেন? আমরা অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।
শিক্ষামন্ত্রী এর উত্তরে বলেন, সমস্ত জেলাকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তি জারি করার। পাল্টা ওই তরুণী বলেন, কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। আর কবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে? তরুণীর কথা শুনেই রেগে যান শিক্ষামন্ত্রী।
দীপক কেসরকার বলেন, "আমি যতটা স্নেহশীল, ততটাই কঠোর। আমার কাছে আমার পড়ুয়ারা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাকরি নিয়ে চিন্তিত এবং তার জন্য আমি ৩০,০০০ চাকরির ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু আপনি যদি ছাত্রদের আপনার মতো নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখান, তবে আমি তা গ্রহণ করব না। আপনার নিজের মধ্যেই শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। আপনি সরকারি চাকরি পাবেন কীভাবে?"
পাশাপাশি ওই তরুণীর যাতে চাকরি না হয় সেই হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বলবো আপনার নাম আলাদা করে লিখে নিতে। যাতে আপনাকে চাকরি থেকে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়।
এই ঘটনার জন্য কেসরকারের সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উচিত তাঁর মন্ত্রীদের লাগাম টেনে ধরা। কেসরকারের ওই মহিলার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন