

মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের (MUDA) জমি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও অন্যান্যদের মামলায় প্রায় ৩০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। ১৪০টির বেশি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এই তালিকায়।
ইডির ব্যাঙ্গালোর শাখা ২০০২ প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)-র অধীনে সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই তালিকায় একাধিক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবং এজেন্টদের সম্পত্তিও রয়েছে।
ইডির অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মুডার জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ১৪টি জমি তাঁর স্ত্রী বি এম পার্বতীয় নামে করেন তিনি। এই কাজে সাহায্য করেছিলেন প্রাক্তন মুডা কমিশনার ডিবি নাতেশ।
প্রসঙ্গত, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। স্নেহময়ী কৃষ্ণ নামের এক সমাজকর্মী মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের (মুডা) জমি অবৈধভাবে বিলি করা হয়েছে। এই দুর্নীতির সাথে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালক জড়িতে রয়েছেন। তাঁদের দু'জনকে বেআইনি ভাবে জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরই রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিলেন।
রাজ্যপালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। যদিও হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই সময় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, "আদালতের উপর আমার আস্থা আছে। আমি তদন্তের সম্মুখীন হতে কোনও দ্বিধাবোধ করব না। আমি বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করব যে এই ধরনের তদন্ত আইনে অনুমোদিত কি না। আমি আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করব এবং লড়াইয়ের রূপরেখা নির্ধারণ করব"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন