
ভারতীয় অর্থনীতি "মোদীর তৈরি করা সঙ্কটে ডুবে" রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। তাঁর অভিযোগ, দেশে বর্তমানে সোনার গহনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ৭১.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভারতের আর্থিক মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
জয়রাম রমেশ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ভারতের অর্থনীতি মোদীর তৈরি সঙ্কটে ডুবেছে। একটু মনে করুন, অর্থনীতির শ্লথ গতির কারণে ২০২৪ সালের মধ্যে মাত্র ৫ বছরে ভারতে স্বর্ণঋণের পরিমাণ ৩০০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভালো ছবি নয়। দেশের মহিলারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারণ তাঁদের সোনার গয়না বন্ধক রেখে ঋণ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আরবিআইয়ের প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে স্বর্ণঋণের পরিমাণ ৭১.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।”
তিনি এও উল্লেখ করেন যে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ২২ শতাংশের বেশি মহিলা ঋণ নিয়েছেন। তাঁরা মোট ৪.৭ ট্রিলিয়ন টাকার স্বর্ণঋণ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া, তিনি সিবিল-নিতি আয়োগের একটি প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, মহিলাদের নেওয়া মোট ঋণের প্রায় ৪০% এখন স্বর্ণঋণ। ৫ বছরে এই সংখ্যাটা ২২% বৃদ্ধি পেয়েছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সরকারের Sovereign Gold Bond Scheme "সম্পূর্ণ ব্যর্থ" হয়েছে। নোট বাতিল বা 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র মতোই এটি সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
রমেশ আরও বলেন, "মোদী সরকার অর্থনীতি সামলাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য চরমে পৌঁছেছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগের অভাব, এবং কম মজুরি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ১.০২ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। পাঁচ বছর আগে যা (২০১৮-১৯) ছিল ২৫,০০০ কোটি। নীতি আয়োগও তাদের রিপোর্টে এরকমই তথ্য তুলে ধরেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলারা ২০২৪-এ যতটা ধার করেছেন, তার ৩৮ শতাংশই সোনা বন্ধক রেখে নেওয়া। পাঁচ বছরে তা বেড়েছে ২২%।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন