

কেরালা সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখানো হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে তৈরি BBC-র তথ্যচিত্র। মঙ্গলবার, এই ঘোষণা করেছে সিপিআই(এম)-র ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI) ও যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI)। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
জানা যাচ্ছে, শুধু বাম দল নয়, একই উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেসও। আগামী ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কেরালা জুড়ে দেখানো হবে বিবিসি (BBC)-র তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন' (India: The Modi Question)।
এক ফেসবুক পোস্টে (Facebook Page) কেরালা DYFI-র জানিয়েছে, 'বিবিসি'র তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন' কেরালায় প্রদর্শিত হবে।' সঙ্গে হ্যাসট্যাগ দিয়ে লেখা হয়েছে #ফ্যাসিবাদ বন্ধ করুন।
পরে, আরেক ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে 'নিষেধাজ্ঞার সামনে ঐতিহাসিক সত্যকে ঢেকে রাখতে প্রস্তুত নই আমরা। গণতান্ত্রিক ভারত গণহত্যার যুগের আসল চেহারা দেখেছে। ডিওয়াইএফআই-এর তত্বাবধানে কোঝিকোড়ে তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন' প্রদর্শিত হয়েছে। এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন DYFI রাজ্য সভাপতি ভি ওয়াসিফ।'
পিছিয়ে নেই কেরালা কংগ্রেসও। ডিওয়াইএফআই-এর সুরে সুর মিলিয়ে একই ঘোষণা করেছে যুব কংগ্রেস সহ কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (KPCC) বিভিন্ন শাখা। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেল জানিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যের জেলা সদরগুলিতে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হবে।
কেপিসিসি-র সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাবুদ্দিন কারাত এক বিবৃতিতে বলেন, 'দেশে এটির উপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে দলের জেলা সদর দফতরে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হবে।'
এদিকে, এই তথ্যচিত্র প্রদর্শন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন বলেন, 'তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হলে দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতাকে বিপন্ন করার জন্য বিদেশী পদক্ষেপকে ক্ষমা করার সমতুল্য হবে।'
প্রসঙ্গত, বিবিসি’র এই তথ্যচিত্রের প্রচার টুইটার (Twitter) এবং ইউটিউব (YouTube)-এ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। এমনকি, দেশে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু ইন্টারনেটের উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে এদেশে অনেকেই ইউটিউবে তথ্যচিত্রটি দেখেছেন। সেটির লিংকও শেয়ার করেছেন কেউ কেউ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন