

উমর খালিদ, শারজিল ইমাম, গুলফিশা ফাতিমা সহ বাকি তিনজনের মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়লো দিল্লি পুলিশ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে (Umar Khalid v. State of NCT Delhi) শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এন ভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ যথেষ্ট সময় দেওয়া সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ কেন এখনও এঁদের জামিনের বিষয়ে সাড়া দেয়নি তা জানতে চান।
আইন সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বার এন্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে, বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এন ভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ এদিন জানায়, দিল্লি পুলিশকে উমর খালিদ ও অন্যান্যদের জামিনের বিষয়ে উত্তর দেবার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে এবং আগেই জানানো হয়েছিল এই মামলা ২৭ অক্টোবর উঠবে। আদালত আরও উল্লেখ করে, কোনও বিচার ছাড়াই অভিযুক্তরা গত পাঁচ বছর ধরে জেলে আছেন।
সোমবার আদালতে দিল্লি পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু এই আবেদনের বিষয়ে উত্তর দেবার জন্য আরও দু’সপ্তাহ সময় চান। যদিও বিচারকদের বেঞ্চ তাঁর সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে তাঁকে জানিয়েছেন, আপনি হয়তো প্রথমবার এই মামলায় এসেছেন। কিন্তু এর আগে এই বিষয়ে বহু সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী কাল অথবা পরশুর মধ্যে উত্তর দিতে হবে।
এদিন বেঞ্চ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে আরও জানিয়েছে, শুক্রবার আপনি নিশ্চিত করুন যে আপনার কাছে স্পষ্ট নির্দেশ আছে,… আমরা তা শুনতে চাই।… পাঁচ বছর ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। বেঞ্চ আরও জানায়, সত্যি বলতে, জামিনের ক্ষেত্রে পাল্টা মামলা দায়েরের কোনও প্রশ্নই আসে না।”
সোমবার শুনানি পর্বে সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল উল্লেখ করেন, আবেদনকারীরা পাঁচ বছর ধরে কারাগারে আছেন।
এরপর এদিনের মত এই মামলা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। আগামী শুক্রবার ৩১ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি হবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে উমর খালিদ সহ অন্যান্যদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন উমর খালিদ সহ অন্যান্যরা। এর পরেই গত ২২ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিশকে নোটিশ পাঠায় শীর্ষ আদালত।
দিল্লি দাঙ্গার বৃহত্তর চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগে শারজিল ইমাম গ্রেপ্তার হন ২৮ জানুয়ারি ২০২০। এই মামলায় আটক অন্যান্যরা হলেন উমর খালিদ ( গ্রেপ্তার - ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০), আতাহার খান (গ্রেপ্তার - ২৯ জুন ২০২০), খালিদ সফি (গ্রেপ্তার - ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০), মহম্মদ সালেম খান (গ্রেপ্তার - ২৪ জুন ২০২০), শিফা-উর রহমান (গ্রেপ্তার - ২৬ এপ্রিল, ২০২০), মীরন হায়দার (গ্রেপ্তার - ১ এপ্রিল, ২০২০), গুলফিসা ফতিমা (গ্রেপ্তার - ৪ এপ্রিল, ২০২০) এবং শাদাব আহমেদ (গ্রেপ্তার - ১১ জুন, ২০২০)।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন