হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব জুড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাঝেই চিন্তা বাড়লো দিল্লিতে। বুধবার আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে দিল্লির বিস্তীর্ণ অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিকেল থেকে এই ভারী বৃষ্টি শুরু হবার সম্ভাবনা। এদিন সকাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যমুনা নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে এবং তার প্রভাবে বেশ কিছু অংশ জলমগ্ন হয়েছে।
দিল্লির বিস্তীর্ণ অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতার পাশাপাশি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে মধ্য দিল্লি, পূর্ব দিল্লি, উত্তর পূর্ব দিল্লি, শাহদারা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিল্লিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ, গৌতম বুদ্ধ নগর, পশ্চিম দিল্লি, দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লি, উত্তর পশ্চিম দিল্লি, উত্তর দিল্লি এবং দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
এদিন আইএমডি-র পক্ষ থেকে এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) জানানো হয়েছে, “দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি, পূর্ব দিল্লি, শাহাদরা, মধ্য দিল্লি, উত্তর-পূর্ব দিল্লি, দক্ষিণ দিল্লি, নয়াদিল্লি, দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লি, পশ্চিম দিল্লি, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি, উত্তর দিল্লির কিছু অংশে বজ্রঝড়/বজ্রপাত সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি, শাহাদরা, দক্ষিণ দিল্লি, নয়াদিল্লি, দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লি, পশ্চিম দিল্লি, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি, উত্তর দিল্লির কিছু অংশে বজ্রঝড়/বজ্রপাত সহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ দিল্লির কিছু অংশে বজ্রঝড়/বজ্রপাত সহ (বাতাসের গতিবেগ ৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টা) হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”
বুধবার সকালে দিল্লিতে যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বলে জানা গেছে। এরপরেই নিচু এলাকাগুলি থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। শহরের জন্য যমুনার জলস্তরের সতর্কতা স্তর ২০৪.৫ মিটার, যেখানে বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। জল ২০৬ মিটারে পৌঁছাবার পরেই বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়।
গত কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে জল বেড়েছে। সম্ভাব্য বন্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
দিল্লির প্রশাসনিক সূত্র অনুসারে, এখনও পর্যন্ত মোট ৫টি জেলা থেকে ৭,৫০০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২৫টি বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে তাদের রাখা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টায় হথনিকুন্ড ব্যারেজ থেকে ১.৬২ লক্ষ কিউসেক এবং ওয়াজিরাবাদ ব্যারেজ থেকে ১.৩৮ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার পর যমুনার জলস্তর আরও বেড়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন