

উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রা জেলার পাথর খাদানে ধসের ঘটনায় মৃত বেড়ে ৪। এখনও ৭ জনের আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রা জেলার ওবরা এলাকায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে শ্রমিকরা পাথর খাদানে বিস্ফোরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। পাথর খাদানে নামা ধসে আটকে পড়েন শ্রমিকরা। রবিবার মধ্যরাতেই দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। পরে আরও ২ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও ৭-৮ জন ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছে বলে প্রশাসনের অনুমান। তবে কয়েকটি সূত্রের দাবি, এখনও প্রায় ১৫ জন শ্রমিক আটকে আছেন।
নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। একজনের নাম রাজু সিং গৌর, যিনি সোনভদ্রা জেলার পারসোই গ্রামের বাসিন্দা এবং অন্যজন ইন্দ্রজিৎ, যিনি ওবরার পানারির বাসিন্দা।
এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (CISF), জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) এবং স্থানীয় পুলিশের উদ্ধারকারী দল অভিযানে অংশ নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই পাথর খাদান পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থা কৃষ্ণা মাইনিং ওয়ার্কসের মালিক এবং তার দুই অংশীদারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। ছোটু যাদব নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর হয়েছে। ছোটু যাদবের অভিযোগ, ইন্দ্রজিৎ এবং সন্তোষ তাঁর দুই ভাই। দু’জনেই নিহতদের মধ্যে রয়েছে। খাদানের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। যোগী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। এই দুর্ঘটনার জন্য খনি মাফিয়া এবং ক্ষমতাসীনদের মধ্যে ‘অংশীদারিত্ব’-কে দায়ী করেছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অজয় রাই জানিয়েছেন, “ওবরায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু বিজেপি সরকার এতটাই ব্যস্ত যে দরিদ্র শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে পারেনি। এটি কোনও উদ্ধার অভিযান নয়, বরং সরকারের অসংবেদনশীলতার লজ্জাজনক প্রমাণ। আমাদের দাবি, প্রতিটি মৃত শ্রমিকের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হোক। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১ কোটি টাকা ত্রাণ দেওয়া হোক”।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন