

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবার। এরই মাঝে পরিবারকে আরও বড় ধাক্কা দিলেন তাঁর মেয়ে রোহিণী আচার্য। আরজেডি এবং পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করার ঘোষণা করলেন তিনি।
শুক্রবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষিত হয়েছে। যেখানে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে আরজেডি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধনের। মাত্র ২৫টি আসনে জিতেছে আরজেডি। তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই ফের বড় ধাক্কা পেলেন লালু প্রসাদ।
শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে রোহিণী আচার্য লেখেন, “আমি রাজনীতি ত্যাগ করছি এবং আমার পরিবারকে ত্যাগ করছি... সঞ্জয় যাদব এবং রমিজ আমাকে এটাই করতে বলেছিলেন...এবং আমি সমস্ত দোষ আমি মাথা পেতে নিচ্ছি।"
পোস্টে সঞ্জয় যাদব বা রামিজ কে, তার কোনও উল্লেখ নেই। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর দাবি এখানে সঞ্জয় যাদব বলতে তেজস্বী ঘনিষ্ঠ সিনিয়র আরজেডি নেতাকে বোঝানো হয়েছে। আর রামিজ বলতে তেজস্বীর আর এক পুরনো বন্ধুকে বোঝানো হয়েছে, যার বাড়ি উত্তরপ্রদেশে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে লালু প্রসাদ যাদবকে নিজের কিডনি দান করে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন পেশায় চিকিৎসক রোহিণী। সোশ্যাল মিডিয়া সহ সর্বস্তরে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল তাঁর এই পদক্ষেপ। আরজেডি-র বিভিন্ন কর্মসূচীতে রোহিণীর প্রশংসা করেছেন লালু প্রসাদও। তবে রোহিণীর আজকের পদক্ষেপ নিয়ে এখনও লালু প্রসাদ বা তেজস্বী যাদব কোনও মন্তব্য করেননি।
এই ঘটনার পর যাদব পরিবারের ফাটল আরও প্রকট হয়ে উঠল। কারণ কয়েক মাস আগেই বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে দল এবং পরিবার থেকে ত্যাগ করেন লালু প্রসাদ। গত মে মাসে তেজপ্রতাপের প্রেমের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই ওই পদক্ষেপ নেন লালু। এবারের নির্বাচনে নিজের দল গড়ে ভোটে লড়েছিলেন তেজ প্রতাপ। তবে জিততে পারেননি।
তেজ প্রতাপকে বহিষ্কারের ঘটনায় অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন রোহিণী বলে সূত্রের খবর। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও দলের প্রতি তাঁর হতাশার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত রাজনৈতিক নেতা এবং পরিবারের সদস্যদের আনফলো করেছিলেন রোহিণী। এবার পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করলেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন