মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত সিপিআইএম ২৪ তম পার্টি কংগ্রেস থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন এম এ বেবি। শনিবারের পলিটব্যুরোর বৈঠকে কেরালার প্রাক্তন মন্ত্রী ৭১ বছর বয়স্ক এম এ বেবির নাম প্রস্তাব করেন প্রকাশ কারাত। তিনি দলের ষষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন এবং প্রয়াত সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির স্থলাভিষিক্ত হলেন। মধ্যবর্তী এই সময়ে কো অরডিনেটর হিসেবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন প্রকাশ কারাত।
সূত্র অনুসারে, ১৬ জন পলিটব্যুরো সদস্যের মধ্যে ১১ জন এম এ বেবির নামে সম্মতি জানান। বাকিরা প্রাথমিকভাবে তাঁর নামের বিরোধিতা করলেও এ নিয়ে কোনও ভোটাভুটি হয়নি। সাধারণ সম্পাদক হবার দৌড়ে নাম বিবেচিত হয় অশোক ধাওয়ালেরও। সূত্র জানাচ্ছে, বেবির নামের বিরোধিতা আসে মূলত বাংলার সিপিআইএম নেতৃত্বের দিক থেকে। যাতে ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, নীলোৎপল বসু, রামচন্দ্র ডোম এবং অশোক ধাওয়ালে।
১৯৫৪ সালের ৫ এপ্রিল কেরালার কোল্লাম জেলার প্রক্কুলমে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর বাবার নাম পি এম আলেক্সান্ডার এবং মায়ের নাম লিলি আলেক্সান্ডার। তাঁর পুরো নাম মারিয়ম আলেক্সান্ডার বেবি। ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদের পর তিনিই কেরালা থেকে সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।
ছাত্রজীবনে কেরালা স্টুডেন্টস ফেডারেশনের মাধ্যমে ( যা পরে এসএফআই হয়) তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এর পরে তিনি যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত হন। ৩২ বছর বয়সে রাজ্যসভার সদস্য হন এম এ বেবি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন।
২০০৬ সালের কেরালা বিধানসভা নির্বাচনে কুন্দারা কেন্দ্র থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভি এস অচ্যুতানন্দন মন্ত্রীসভার শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি কুন্দারা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোল্লাম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি কংগ্রেস সমর্থিত আরএসপি প্রার্থী এন কে প্রেমচন্দ্রনের কাছে ৩৭,৬৪৯ ভোটে পরাজিত হন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন