Manipur: প্রায় দু'মাস পর সর্বদল বৈঠকের ডাক শাহের, ‘সামান্যই দেরি হয়েছে’ কটাক্ষ কংগ্রেসের

আগামী শনিবার দিল্লিতে এই নিয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জাতীয় কংগ্রেস।
অশান্ত মণিপুর
অশান্ত মণিপুর ছবি সৌজন্যে ইস্ট মজো টুইটার হ্যান্ডেল

গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে গত প্রায় দু মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের সমস্যার সমাধান নিয়ে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। আগামী শনিবার দিল্লিতে এই নিয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে ‘সামান্য দেরি’ হয়েছে বলে কটাক্ষ জাতীয় কংগ্রেস নেতা কে.সি ভেনুগোপালের। মণিপুরের মানুষের উদ্দেশ্যে কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী শান্তির বার্তা দেওয়ার পরেই কেন্দ্রের টনক নড়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুর। পুড়ে ছাই হয়েছে অসংখ্য বাড়ি, আশ্রয় হারিয়েছেন বহু মানুষ। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মণিপুরের এই সমস্যা নিয়ে এতদিন একটি কথাও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় দু মাস সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র।

জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে.সি ভেনুগোপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, “প্রায় ৫০ দিন ধরে চলা সংঘর্ষ ও এত মৃত্যুর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকের কথা মনে হয়েছে। মণিপুরের জন্য এই বৈঠক ডাকতে একটু দেরিই হয়ে গেল। মণিপুরের মানুষের উদ্দেশ্যে সোনিয়া জি’র দেওয়া বার্তার পরেই জেগে উঠেছে সরকার।”

কংগ্রেস নেতার আরও দাবি, “এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুপস্থিতি এই ধরণের সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যর্থতা ও কাপুরুষতার প্রমাণ দেয়। এমনকি যখন বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য অনুরোধ করেন, তখনও তাঁর সময় হয়নি।”

তিনি আরও জানান, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে মণিপুরের পরিস্থিতি কাছ থেকে দেখেছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাঁর হস্তক্ষেপও বিশেষ সুবিধা হয়নি। বরং তাঁর মণিপুর সফরের পর থেকে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে কি আমরা প্রকৃত শান্তি আশা করতে পারি না? মণিপুর সরকারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা ও এতকিছুর পরেও রাষ্ট্রপতি শাসন চালু না করাই সবচেয়ে বড় প্রতারণা।” কংগ্রেসের এই রাজ্যসভার সাংসদ আরও জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সংঘর্ষরত ওই রাজ্যের দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গেই সামনাসামনি আলোচনায় বসে এই সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান বের করা উচিত।”

উল্লেখ্য, বুধবারই জাতীয় কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী উত্তপ্ত মণিপুরের মানুষের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে মৃতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার আবেদনও করছেন। তাঁর এই ভিডিও বার্তার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী শনিবার সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। এর আগেও যদিও ২৯ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত চার দিনের মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন ভাজপা সরকারের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড শাহ। তবে তাঁর সফরে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। বরং শাহের মণিপুর সফরের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

অশান্ত মণিপুর
Manipur: ‘মন কী বাত’ নয়, ‘মণিপুর কী বাত’ শুনতে চাই, রাস্তায় রেডিও ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বয়কট
অশান্ত মণিপুর
Manipur: মণিপুর হিংসায় সম্পূর্ণ নীরব প্রধানমন্ত্রী - শান্তি কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন রতন থিয়াম

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in