
কয়লা পাচার কাণ্ডে আইপিএস অফিসার আকাশ মাঘরিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন মাঘরিয়া। এই সময়কালে তাঁর ভূমিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাঘরিয়াকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি।
বর্তমানে, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ বিভাগ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মাঘরিয়া। ২৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার, কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তিনি।
ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছে পুরুলিয়া জেলার নাম। তাই, তদন্তের ক্ষেত্রে এই জেলার পুলিশ অফিসারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, পশ্চিমবঙ্গের আটজন আইপিএস অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠয়েছিল ইডি। এই তালিকায় পুরুলিয়া জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগানও রয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার থাকাকালীন কয়লা চোরাচালান রুখতে কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন আকাশ, সে সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ঘটনাক্রমে, এই সময়কালে সবথেকে বেশি কয়লা পাচার হয়েছে।
তবে, শুধু আকাশ মাঘরিয়া নয়, রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (STF)-র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ADG) জ্ঞানবন্ত সিং (IPS Gyanbant Singh)-কেও তলব করেছে ইডি। আগামী বুধবার, তাঁকে ইডির মুখোমুখি হওয়ার জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
কয়লা-কাণ্ডে যৌথ ভাবে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। অবৈধভাবে কয়লা খনন, পাচার এবং বিক্রির বিষয়টি এই দুই তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের আওতাধীন। এই দুই আইপিএস আগে কয়লাবেষ্টিত জেলার পুলিস প্রশাসনের গুরুদায়িত্বে ছিলেন। তাই কয়লা পাচারের বিষয়ে তাঁরা আদৌ ওয়াকিবহাল কিনা জানতে চায় ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, এই মামলার ক্ষেত্রে পুরুলিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। প্রথমত, কয়লা পাচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে এই জেলা। দ্বিতীয়ত, পুরুলিয়া হল এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার নিজের শহর এবং প্রধান অপারেশনাল এলাকা।
ইতিমধ্যেই, এই মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডির তদন্তকারীরা অফিসারেরা। সেইসঙ্গে, তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্যালিকা মানেকা গম্ভীরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।