

কেরালায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক কল্যাণমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করল পিনারাই বিজয়ন সরকার। পাশাপাশি একাধিক প্রকল্পে আর্থিক ভাতাও বাড়ানো হয়েছে। বুধবার, ২৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সাংবাদিক বৈঠকে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের কথা জানান। তাঁর কথায়, সমাজের প্রান্তিক মানুষ—মহিলা, প্রবীণ এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের উন্নতিই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, যেসব দরিদ্র মহিলা বা ট্রান্সউইমেন কোনও বিদ্যমান সরকারি প্রকল্পের আওতায় নেই, তাঁদের জন্য চালু হচ্ছে ‘মহিলা সুরক্ষা পেনশন’ (৩৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য)। যার আওতায় মাসিক ১,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, যেসব বেকার যুবক-যুবতী উচ্চশিক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং পরিবারের আয় বছরে ১ লক্ষ টাকার কম, তাঁদের জন্যও চালু হচ্ছে ১,০০০ টাকার মাসিক বৃত্তি।
এছাড়া ৪০০ টাকা বাড়ানো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন প্রকল্পে। আগে মাসে ১,৬০০ টাকা পাওয়া যেত, এখন থেকে তা হবে ২,০০০ টাকা। কুডুম্বশ্রী সংস্থার এডিএস ইউনিটগুলিকে মাসে ১,০০০ টাকার অনুদান দেওয়া হবে। পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। যা নভেম্বর থেকেই কার্যকর হবে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও এই সংশোধনের সুফল পাবেন।
প্রিপ্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে মাসিক ১ হাজার টাকা।
অতিথি অধ্যাপকের বেতন বাড়ানো হয়েছে মাসে ২ হাজার টাকা।
রাজ্যের আঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সহকারী, সাক্ষরতা মিশনের ‘প্রেরক’, আশা কর্মী ও আয়া’দের মাসিক সম্মানী ১,০০০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। কৃষকদের ক্ষেত্রেও স্বস্তির ঘোষণা এসেছে। ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য বাড়িয়ে প্রতি কেজি ৩০ টাকা করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী কে.এন. বালাগোপাল জানিয়েছেন, এই নতুন পদক্ষেপগুলির জন্য রাজ্য সরকারকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা। সমস্ত প্রকল্পগুলোই রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
তবে আশা কর্মীদের সংগঠন এই বৃদ্ধিকে যথেষ্ট মনে করছে না। অবসরকালীন সুবিধা চালুর তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি এখনও পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ। সংগঠনের নেত্রী মিনি স্পষ্টভাবে জানান, “বেতন বাড়ানোকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু এটা পর্যাপ্ত নয়। অবসরকালীন সুবিধা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
