
মধ্যবিত্তদের জন্য স্বস্তির খবর। টুথপেস্ট, ঘি, সাবান, রান্নাঘরের বাসন ও সামগ্রী, স্ন্যাক্স-সহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর থেকে জিএসটি কমাতে চলেছে কেন্দ্র সরকার (Modi Govt)। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকার পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) স্ল্যাব পুনর্গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি জিনিসের উপর থেকে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে আনা হবে। আবার কোনও কোনও জিনিসের ওপর থেকে একেবারে ১২ শতাংশ জিএসটি-ই তুলে নেওয়া হতে পারে বলেও খবর মিলেছে। এই তালিকায় ঘি, সাবান এবং স্ন্যাক্সের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য রয়েছে। এছাড়াও মধ্যবিত্তদের নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য বহু বস্তুও নজরে রয়েছে।
তালিকায় রয়েছে টুথপেস্ট, টুথ পাওডার, ঘি, সাবান, স্ন্য়াক্স, ছাতা, সেলাই মেশিন, প্রেসার কুকার, রান্নাঘরের বাসন ও সামগ্রী, বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি, গিজার, ছোট ওয়াশিং মেশিন, বাইসাইকেল, ১০০০ টাকার বেশি দামের রেডিমেড জামাকাপড়, ৫০০ ও ১০০০ টাকার বেশি দামের জুতো, স্টেশনারি দ্রব্য, টিকা, সেরামিক টাইলস, কৃষিকাজের যন্ত্রপাতির মতো সামগ্রী ও সরঞ্জাম ইত্যাদি।
বর্তমানে এই সমস্ত জিনিসের উপর ১২ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হয়। তার ভিত্তিতেই এগুলোর বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তবে মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে এই দ্রব্যগুলোর উপর জিএসটি কমাতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটির বোঝা চাপবে সরকারের উপর। তারপরেও এই ঝুঁকি নিতে চলেছে কেন্দ্র। কারণ এতে সাধারণ বাজারে কেনাকাটা বাড়বে বলে আশাবাদী সরকার।
এবিষয়ে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬ তম সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। নিয়মানুসারে, সভার ১৫ দিন আগে নোটিশ দেওয়া হয়। জানা গেছে, চলতি মাসের শেষে বসতে পারে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। যার দিকে নজর রয়েছে সকলের।
অন্যদিকে, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। কারণ আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে তাকিয়েই কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিরোধীরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর থেকে জিএসটি কমলে, আমজনতা অনেকটাই আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরাও।
২০১৭ সালে ১ জুলাই চালু হয়েছিল জিএসটি। চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন