'ভোট চোরদের রক্ষা করছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার' - জ্ঞানেশ কুমারকে তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধীর

People's Reporter: রাহুল বলেন, ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে নাম বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। আদিবাসী, দলিত, এসসি সম্প্রদায়ের মানুষদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা মূলত বিরোধীদের ভোট দেন।
জ্ঞানেশ কুমার ও রাহুল গান্ধী
জ্ঞানেশ কুমার ও রাহুল গান্ধীছবি - সংগৃহীত
Published on

ফের একবার ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, কর্ণাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৬০০০-র বেশি জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বেছে বেছে কংগ্রেস যেখানে শক্তিশালী, সেইসব বুথেই এই ধরণের কাজ হচ্ছে বলেও সরব হয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ভোট চুরি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল গান্ধী। তিনি জানান, "কর্ণাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্র আছে অলন্দ নামের। যেখানে ৬০১৮টি ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ২০২৩ সালে হয়েছিল। যদিও আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যা জানিনা। তবে এর থেকে (৬,০১৮) বেশি ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে মনে হয়। জ্ঞানেশ কুমারজি যিনি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, তিনি ভোট চোরদের রক্ষা করছেন। এটা নিয়ে এখন আর কোনও সংশয় নেই।"

তিনি আরও বলেন, 'ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। আদিবাসী, দলিত, এসসি সম্প্রদায়ের মানুষদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা মূলত বিরোধীদের ভোট দেন'।

রাহুলের অভিযোগ, কেউ ভুয়ো লগ ইন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি গোদাবাই নামের ৬৩ বছরের জনৈক বৃদ্ধার উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই নাম দিয়ে একজন লগ ইন করেন। যিনি ১২ জন ভোটারের নাম মুছেছেন। এই বিষয়ে ওই বৃদ্ধাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি এই বিষয়ে কিছুই না জানেন না বলে দাবি করেন। বৃদ্ধার সেই ভিডিয়োও সাংবাদিক সম্মেলনে দেখানো হয়েছে।

কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্র হত্যাকারীদের রক্ষা করছে। তিনি জানান, ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে নির্বাচন কমিশনকে ১৮ বার চিঠি দিয়েছিলেন কর্ণাটক সিআইডি। কিন্তু উল্টো দিক থেকে কোনও জবাব আসেনি। তাঁর কাছে প্রতিটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১০০ শতাংশ তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। 

যদিও রাহুলের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। এক্স মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন জানায়, রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ভুল এবং ভিত্তিহীন। কোনও জনসাধারণের দ্বারা অনলাইনে কোনও ভোট মুছে ফেলা যাবে না।

তবে কমিশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের নাম মুছে ফেলার জন্য কিছু ব্যর্থ প্রচেষ্টা করা হয়েছিল এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন নিজেই একটি এফআইআর দায়ের করেছিল।

রেকর্ড অনুসারে, অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্র ২০১৮ সালে শুভাধ গুট্টেদার (বিজেপি) এবং ২০২৩ সালে বিআর পাতিল (কংগ্রেস) জয়ী হয়েছিলেন।

জ্ঞানেশ কুমার ও রাহুল গান্ধী
খাজুরাহোয় বিষ্ণুমূর্তি পুনঃস্থাপনের আর্জি খারিজ, আবেদনকারীকে ধ্যান করার পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের
জ্ঞানেশ কুমার ও রাহুল গান্ধী
Narendra Modi: টানা ১৭ দিন ধরে স্কুলে দেখানো হবে মোদির শৈশব অনুপ্রাণিত ছবি! নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রকের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in