

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সঙ্ঘ (KVS), নবোদয় বিদ্যালয় সমিতি (NVS) এবং সিবিএসই-র (CBSE) অন্তর্গত স্কুলগুলিতে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১৭ দিন দেখাতে হবে 'চলো জিতে হ্যায়' নামের চলচ্চিত্র। মোদির শৈশবকালীন কিছু অভিজ্ঞতা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই ছবিটি। ছাত্রছাত্রীদের চরিত্র গঠন, তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ এবং সমাজসেবার মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে ছবিটি দেখানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রক থেকে ১১ সেপ্টেম্বর জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলচ্চিত্রটির মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা এবং নৈতিক মূল্যবোধ উদ্বুদ্ধ করা। এর মাধ্যমে তারা সহানুভূতিশীল হবে। বিশ্লেষণ, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো সামাজিক-মানসিক দক্ষতা আয়ত্ত করতে পারবে।
এই প্রদর্শনী আসলে মন্ত্রকের অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা কর্মসূচি 'প্রেরণা'-রই অংশ। গুজরাটের ভদনগরের ঐতিহাসিক ভার্নাকুলার স্কুল থেকে শুরু হয়েছিল এই কর্মসূচি—যেখানে একসময় পড়াশোনা করেছিলেন মোদি নিজেই। দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই ৬৫ ব্যাচের মাধ্যমে ৬৫০ জেলার ছাত্রছাত্রীকে এর আওতায় আনা হয়েছে।
প্রেরণা কর্মসূচি গড়ে উঠেছে নয়টি মূল মানবিক মূল্যবোধের উপর—
স্বাভিমান ও বিনয়
শৌর্য ও সাহস
পরিশ্রম ও সমর্পণ
সত্যনিষ্ঠা ও শুচিতা
করুণা ও সেবা
নবাচার ও জিজ্ঞাসা
বৈচিত্র্য ও ঐক্য
শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস
স্বাধীনতা ও কর্তব্য
গল্প বলা, নীতি-ভিত্তিক সেশন, দেশীয় খেলা, হাতে-কলমে কাজ এবং অডিও-ভিজুয়াল উপস্থাপনার মাধ্যমে এই মূল্যবোধগুলো ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীকে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ বাস্তব চরিত্র, নৈতিক সংকট এবং মানবিক আবেগ পর্দার মাধ্যমে সহজে অনুধাবন করা যায়।
২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'চলো জিতে হ্যায়' ছবিটি প্রধানমন্ত্রী মোদির শৈশবের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা পরিবারমূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সম্মান পেয়েছিল। সম্প্রতি প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) জানিয়েছে, ছবিটি ফের সারাদেশে পুনঃপ্রদর্শিত করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্কুলগুলিকে ছবিটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর উদ্দেশ্য, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দায়িত্ববোধ, আত্মনিবেদন এবং সমাজসেবার মানসিকতা জাগিয়ে তোলা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন