খাজুরাহোয় বিষ্ণুমূর্তি পুনঃস্থাপনের আর্জি খারিজ, আবেদনকারীকে ধ্যান করার পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের

People's Reporter: আবেদনকারী রাকেশ দালালের যুক্তি ছিল, মোঘল আক্রমণের সময় মূর্তিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর আন্দোলন, স্মারকলিপি ও প্রচারণার মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
খাজুরাহোয় বিষ্ণুমূর্তি পুনঃস্থাপনের আর্জি খারিজ, আবেদনকারীকে ধ্যান করার পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের
গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোর জবারি মন্দিরে ভগ্ন বিষ্ণুমূর্তি পুনঃস্থাপনের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি বি.আর. গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ আবেদনটিকে ‘প্রচারের স্বার্থে মামলা’ আখ্যা দিয়ে জানায়, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একতিয়ার কেবল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের (ASI) রয়েছে, আদালতের নয়। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই আবেদনকারীকে ব্যঙ্গ করে বলেন, “ভক্ত হলে প্রার্থনা করুন, চাইলে শিবলিঙ্গেও পূজা করতে পারেন।”

আবেদনকারী রাকেশ দালালের যুক্তি ছিল, মোঘল আক্রমণের সময় মূর্তিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর থেকে তা ভগ্নাবস্থায় পড়ে রয়েছে। বহুবার আন্দোলন, স্মারকলিপি ও প্রচারণার মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাঁর যুক্তি, মূর্তি সংস্কার না হওয়ায় ভক্তদের ধর্মপালনের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিষ্ণুর সাত ফুট উঁচু মূর্তি নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

তবে আদালত এই আবেদন খারিজ করে স্পষ্ট জানায়, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণ বা সংস্কারের সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র ASI নিতে পারে। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি গাভাই রসিকতার সুরে বলেন, “আপনি বলছেন আপনি বিষ্ণুভক্ত। তবে প্রার্থনা করুন, ধ্যান করুন।” তিনি আরও যোগ করেন, “আপনি যদি শৈবধর্মে অনীহা না রাখেন, তবে খাজুরাহোতেই বিশালাকার শিবলিঙ্গ রয়েছে, সেখানেও পূজা করতে পারেন।”

আদালতের বার্তা একেবারেই পরিষ্কার— যেহেতু খাজুরাহো মন্দির কমপ্লেক্সটি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর তরফে ‘সংরক্ষিত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষিত তাই এই নিদর্শনের রক্ষণাবেক্ষণ বা পুনঃস্থাপন নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার কেবলমাত্র এএসআই-এর হাতেই আছে।

উল্লেখ্য, ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যস্থল’ মর্যাদাপ্রাপ্ত খাজুরাহো মন্দির।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in