Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে খুন সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রাকর, রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি ফাঁসের কারণেই হত্যা?

People's Reporter: স্থানীয় এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শুক্রবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একটি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রাকর এবং যেখানে তাঁর দেহ পাওয়া গেছে
নিহত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রাকর এবং যেখানে তাঁর দেহ পাওয়া গেছে ছবি স্নেহা মণ্ডল-এর এক্স হ্যান্ডেল থেকে সংগৃহীত, গ্রাফিক্স - আকাশ
Published on

ছত্তিশগড়ের বীজাপুরে খুন ২৮ বছর বয়সী সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রাকর। স্থানীয় এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শুক্রবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একটি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সূত্র অনুসারে, গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শেষবার দেখা গেছিল তরুণ সাংবাদিক মুকেশকে। এর পরের দিন তাঁর বড়োভাই টিভি সাংবাদিক ইয়ুকেশ চন্দ্রাকর স্থানীয় থানায় ভাইয়ের নিখোঁজ সংবাদ জানিয়ে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন।

এরপর পুলিশ তাঁর মোবাইল ট্র্যাক করে স্থানীয় চট্টনপাড়া বস্তি অঞ্চলে এক ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রাকরের মালিকানাধীন এক বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে সাংবাদিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্র অনুসারে দিন দুয়েক আগেই এই সেপটিক ট্যাঙ্কের মুখ সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়েছিল।

কী বলছেন নিহত সাংবাদিকদের দাদা?

সাংবাদিক মুকেশের দাদা ইয়ুকেশ চন্দ্রাকরের অভিযোগ অনুসারে, সম্প্রতি গঙ্গালুর থেকে নেলসনার গ্রাম পর্যন্ত এক সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন মুকেশ। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পরেই ওই সড়ক নির্মাণ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। যার জেরে মুকেশ চন্দ্রাকরকে ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রাকর এবং আরও তিন ব্যক্তি হুমকি দেন।

কী বলছে পুলিশ?

বিজাপুরের পুলিশ আধিকারিক জিতেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, যেখান থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেই জায়গা কর্মরত শ্রমিকদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হত। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে এই হত্যার বিষয়ে বিশদে জানা যাবে।

কে এই মুকেশ চন্দ্রাকর?

বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু সিআরপিএফ জওয়ানকে অপহরণ করে মাওবাদীরা। অপহৃত সেই জওয়ানদের উদ্ধারে বড়ো ভূমিকা নিয়েছিলেন নিহত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রাকর। তাঁর ওই ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। তাঁর সাংবাদিকতার বেশিরভাগটাই ছিল মাওবাদীদের হামলা, সংঘর্ষ এবং বস্তার অঞ্চল নিয়ে ছিল। এছাড়াও তিনি আদিবাসীদের অধিকার নিয়েও প্রচুর প্রতিবেদন করেছিলেন। প্রায় এক দশক থেকে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এক সর্বভারতীয় চ্যানেলের জন্য তিনি স্ট্রিঙ্গার হিসেবেও কাজ করতেন। এছাড়াও তাঁর একটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ছিল।

কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই?

সাংবাদিক মুকেশের হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বিজাপুরের তরুণ এবং একনিষ্ঠ সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রাকরের হত্যার ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। তাঁর হত্যা সংবাদজগত এবং সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের কোনওভাবেই ছাড়া হবেনা। আমি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছি।

নিহত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রাকর এবং যেখানে তাঁর দেহ পাওয়া গেছে
Ketan Parekh: আবারও কেতন পারেখের বিরুদ্ধে সেবির নিষেধাজ্ঞা - কে এই পারেখ? কী তাঁর অতীত?
নিহত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রাকর এবং যেখানে তাঁর দেহ পাওয়া গেছে
Gautam Adani: আদানির বিরুদ্ধে একসাথেই চলবে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা! নির্দেশ মার্কিন আদালতের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in