* জাতিগত জনগণনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন রাহুল গান্ধী।
* পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, এই জনগণনা শেষ করতে কত সময় লাগবে?
* নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সদর দপ্তরের সামনে রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোষ্টার।
“আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি”। বুধবার সন্ধ্যেয় এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। গতকালই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জাতিগত জনগণনার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেবার পর সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান কংগ্রেস সাংসদ। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণার কৃতিত্ব দাবি করে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরের বাইরে বিরাট ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বুধবার রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি এটাও জানতে চাই, জনগণনা শেষ করতে কত সময় লাগবে? তিনি আরও বলেন, জাতিগত জনগণনা হল প্রথম ধাপ। আমাদের লক্ষ্য এর মাধ্যমে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। শুধুমাত্র সংরক্ষণ নয়, আমরা খুব স্পষ্টভাবে এই দেশে ওবিসি, দলিত, আদিবাসীদের কতটা অংশগ্রহণ তাও জানতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংসদে বলেছিলাম জাতিগত জনগণনা আমরা করবোই। আমরা আরও বলেছিলাম যে ৫০ শতাংশের যে বিষয় আছে তা আমরা বাতিল করব। নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, যে এইধরনের মাত্র চারটে ঘটনা আছে। ঠিক জানিনা, ১১ বছর বাদে হঠাৎ জাতিগণনার ঘোষণা হল। জাতিগত জনগণনা কবের মধ্যে সম্পন্ন হবে সেই বিষয়ে তিনি বলেন, হেডলাইন তো পাওয়া গেল, কিন্তু ডেডলাইন কোথায়?
রাহুল গান্ধীর এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে আসে পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, পহেলগাঁওয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে ২৮ জনকে। এই ঘটনায় কারা দায়ী তা খুবই স্পষ্ট। যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। যে ব্যবস্থা কোনও দ্বিধা ছাড়াই খুবই কঠোর হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী কোনও সময় নষ্ট করা উচিত নয়। এটা খুব স্পষ্ট করে দেওয়া উচিত যে ভারত এইধরনের কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না।
রাহুল গান্ধীর সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই বিজেপি আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য এক এক্স বার্তায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, জাতিগত জনগণনা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য রাহুল গান্ধী কৃতিত্ব নেওয়া বন্ধ করুন। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন এই বিষয়ে ঘোষণা হবে। মালব্যের আরও অভিযোগ, ২০১১ সালে, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার আর্থ-সামাজিক ও জাতিগত আদমশুমারি শুরু করে, যাতে বর্ণের উপাদান অন্তর্ভুক্ত ছিল - ১৯৩১ সালের পর এটিই প্রথম এই ধরনের প্রচেষ্টা। তবে, অসঙ্গতি এবং শ্রেণীবিন্যাসের সমস্যা উল্লেখ করে কংগ্রেস জাতিগত তথ্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন