
মহারাষ্ট্রের আবগারি বিভাগে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করল সিএজি (CAG)। সদ্য প্রকাশিত সিএজি রিপোর্টে উঠে এসেছে একাধিক ভুল হিসাবনিকাশ ও প্রশাসনিক দুর্বলতার চিত্র। যার ফলে রাজ্য সরকার সুদ ও রাজস্ব বাবদ প্রায় ২৫০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
সিএজি জানিয়েছে, শুধুমাত্র লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ ফি-এর ভুল মূল্যায়নের ফলেই রাজ্য সরকার ২০.১৫ কোটি টাকা রাজস্ব এবং ৭০.২২ কোটি টাকা সুদের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তার উপর তত্ত্বাবধান ফি-এর সংশোধিত হার সঠিকভাবে কার্যকর না করায় আরও ১.২০ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে।
রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তৎকালীন আবগারি কমিশনার রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বিয়ারের পুরনো মজুদের উপর আবগারি শুল্ক মওকুফ করেন, যা নিয়ম মেনে হয়নি। এছাড়া, রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য হালকা বিয়ারের নমুনা জমা দিতে দেরি হওয়ায় ৭৩.১৮ কোটি টাকার কর আদায় সম্ভব হয়নি।
সিএজি আরও জানায়, "বম্বে প্রোহিবিশন (প্রিভিলেজ ফি) রুলস, ১৯৫৪" অনুযায়ী, অংশীদারিত্ব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ফি ধার্য থাকলেও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ারহোল্ডিংয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের জন্য কোনও বিধান না থাকায় রাজ্য ২৬.৯৩ কোটি টাকা হারিয়েছে। উৎপাদন খরচ ঘোষণা সংক্রান্ত কোনও আইনি বিধান না থাকায় সরকার সম্ভাব্য অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের সুযোগও হাতছাড়া করেছে বলে জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে, ক্যান্টিন স্টোরস ডিপার্টমেন্ট (CSD)-এর ১১টি পণ্য বা ব্র্যান্ডের উৎপাদন খরচ ভুলভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যার ফলে ৩৮.৩৪ কোটি টাকার আবগারি শুল্ক রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
সিএজি আরও উল্লেখ করেছে, আমদানি করা বিদেশী মদের (IMFL) মূল্য নির্ধারণে ত্রুটির কারণে আগস্ট ২০১৮ থেকে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত ১১.৪৮ কোটি টাকা এবং মে ২০১৭ থেকে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত ২.৮৯ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
রিপোর্টের শেষে সিএজি জানায়, "এই ধারাবাহিক ত্রুটিগুলির কারণে সরকারের রাজস্ব আয় বড়সড়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা আবগারি বিভাগের পরিচালন দক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন