

মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন মহাযুতি জোট শরিক অজিত পাওয়ারের এনসিপি-কে বাদ দিয়েই বিজেপি এবং শিবসেনা একনাথ শিন্ধে গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেললো। আসন্ন বৃহণমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC) নির্বাচনে ২২৭ আসনের মধ্যে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১৩৭ আসনে এবং শিবসেনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৯০ আসনে। আগামী ১৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আজই মনোনয়ন জমা দেবার শেষ দিন।
সোমবার বিজেপি ও শিবসেনার আসন সমঝোতা ঘোষণার পর জানা গেছে দুই দল নিজেদের ভাগের কিছু আসন অন্য ছোটো শরিকদের জন্য ছেড়ে দেবে। গতকাল এই আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করেন মুম্বাই বিজেপি সভাপতি অমিত সতম। তিনি জানিয়েছেন, ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবারই সব প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দেবেন।
আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রে বিএমসি সহ মোট ২৯টি পুরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৬ জানুয়ারি। ২৯টি পুরসভার মধ্যে সবথেকে আলোচ্য অবশ্যই বিএমসি। কারণ মহারাষ্ট্রে আগামী দিনের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হবে এই নির্বাচন থেকেই। ইতিমধ্যেই উদ্ধব ঠাকরে এবং রাজ ঠাকরের মিলনে মহারাষ্ট্রে আগামী দিনে অন্য রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। পাশাপাশি পুরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই যুযুধান শিবির মহাযুতি এবং মহা বিকাশ আঘাদিও কার্যত ভেঙে গেছে।
মহাযুতি জোটের অংশ হলেও বিএমসি নির্বাচনে অজিত পাওয়ারের এনসিপি-কে বাদ দিয়েই আসন সমঝোতার আলোচনা চালিয়েছে বিজেপি ও শিবসেনা শিন্ধে গোষ্ঠী। তাই অজিত পাওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠীর কাছে বিএমসি নির্বাচনে এককভাবেই লড়াই করা ছাড়া অন্য পথ খোলা ছিলোনা। এখনও পর্যন্ত এনসিপি (এপি) ৬৭ আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
বিরোধী মহাবিকাশ আঘাদি শিবিরে শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী এবং রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার জোট হওয়ায় কংগ্রেস এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপির সামনেও আলাদা আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ছাড়া অন্য পথ খোলা নেই। যদিও বিএমসি নির্বাচনে কংগ্রেস কত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে অথবা এনসিপি (এসপি) কত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
২০১৭ বিএমসি নির্বাচনে শিবসেনা (অবিভক্ত) ৮৪ আসনে জয়ী হয়। বিজেপি জয়ী হয় ৮২ আসনে। কংগ্রেস পেয়েছিল ৩১ আসন। এছাড়া রাজ ঠাকরের এনএনএস এবং অবিভক্ত এনসিপি জয়ী হয়েছিল ৭ এবং ৯ আসনে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন