BMC Election: মহারাষ্ট্রে জোট জট - বিজেপি শিন্ধেসেনার আসন সমঝোতার আলোচনায় বাদ অজিত পাওয়ারের এনসিপি

People's Reporter: BMC নির্বাচনের মুখে মহারাষ্ট্রে জোট জট। আসন সমঝোতা নিয়ে বিজেপি এবং শিবসেনা (একনাথ শিন্ধে)-র মধ্যে আলোচনা শুরু হলেও জোটসঙ্গী অজিত পাওয়ারের এনসিপির সঙ্গে কোনও আলোচনায় তারা রাজী নয়।
একনাথ শিন্ধে, অজিত পাওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীশ
একনাথ শিন্ধে, অজিত পাওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীশফাইল ছবি - সংগৃহীত
Published on

আসন্ন বৃহণ মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC) নির্বাচনের মুখে মহারাষ্ট্রে জোট জট তুঙ্গে। নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং শিবসেনা (একনাথ শিন্ধে)-র মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেলেও অপর জোটসঙ্গী অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির সঙ্গে কোনও আলোচনায় তারা রাজী নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

মুম্বাই বিজেপি সভাপতি এবং মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ঘনিষ্ঠ অমিত সতম বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ধের প্রতিনিধি শিল্পমন্ত্রী উদয় সামন্তের সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়ে গেছে। যাতে বিএমসি-র ২২৭ আসনের মধ্যে ১৫০ আসনে রফা চূড়ান্ত হয়েছে। বাকি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, মহাযুতি জোট ২২৭ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এই আসন সমঝোতায় আরপিআই (এ)-র জন্যও আসন বরাদ্দের কথা ভাবা হচ্ছে।

যদিও অমিত সতম জানিয়েছেন, বিজেপি এই নির্বাচনে এনসিপি-র সঙ্গে কোনও আসন সমঝোতা চায় না। কারণ এনসিপি-র নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান নবাব মালিক। যার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। তাই তাঁর সঙ্গে আলোচনার কোনও প্রশ্ন নেই। ওই জায়গায় অন্য কেউ এলে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।

বিজেপির এই আপত্তি প্রসঙ্গে নবাব মালিকের মেয়ে এবং এনসিপি বিধায়ক সানা মালিক জানিয়েছেন, এনসিপি-র সামনে এখন দুটো রাস্তাই খোলা আছে। হয় নিজের শক্তিতে ২২৭ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অথবা মহাযুতি অন্যান্য শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করা। তবে যাই হোক না কেন, ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের শীর্ষ নেতা অজিত পাওয়ার।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন নবাব মালিক। দাউদের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে এবং তিনি বেআইনি আর্থিক লেনদেনেও জড়িত রয়েছেন, এই দুই অভিযোগে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিককে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট‌। ওইদিন সকালেই এনসিপি নেতা তথা ওই মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরে তাঁকে ইডির মুম্বই দফতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নবাব মালিকের গ্রেফতারের পরই সরগরম হয় জাতীয় রাজনীতি।

২০২১-এর ১ নভেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করে মালিক অভিযোগ করেন - মহারাষ্ট্রে অবৈধ ড্রাগ ব্যবসার মাস্টারমাইন্ড হলেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা তথা মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একজন কথিত মাদক ব্যবসায়ী জয়দীপ রানার সাথে ফড়নবিশ এবং তাঁর স্ত্রী অম্রুতা ফড়নবিশের ছবি প্রকাশ করেন।

নবাব মালিকের অভিযোগের উত্তরে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ কটাক্ষ করে বলেন – “কাঁচের ঘরে বসবাসকারীদের পাথর ছোঁড়া উচিত নয়”। শুধু তাই নয়, দীপাবলির পরে তিনিও নবাব মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনবেন বলে হুমকি দেন। অম্রুতা ফড়নবিশ এই বিষয়ে কিছু না বললেও, ট্যুইট করে জানান – “বিনাশকালে বুদ্ধি নষ্ট”।

একনাথ শিন্ধে, অজিত পাওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীশ
কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধী জোট অসম্ভব: নবাব মালিক
একনাথ শিন্ধে, অজিত পাওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীশ
Mumbai Drug Case: মুক্তিপণের জন্য আরিয়ান খানকে ফাঁদে ফেলে অপহরণ করা হয়েছিলো - নবাব মালিক

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in