

উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের প্রধান মোড়ে বসেছে অন্যতম প্রখ্যাত তবলাবাদক উস্তাদ আহমেদ জান খান থিরাকওয়ার মূর্তি। সেই মূর্তি তোলার দাবিতে পথে নেমেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) এবং বিজেপি। তাঁদের দাবি, উস্তাদ আহমেদ জানের মূর্তি সরিয়ে সেখানে সুভাষ চন্দ্র বোসের মূর্তি প্রতিস্থাপন করতে হবে।
মোরাদাবাদের অন্যতম প্রধান সড়ক সুভাষ চক। সপ্তাহখানেক আগে সুভাষ চকে মোরাদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে উস্তাদ আহমেদ জান খান থিরাকওয়ার মূর্তি বসানো হয়। কান্থ রোডে আকবর ফোর্টের সামনে দিয়ে যে রাস্তা স্টেডিয়ামের দিকে চলে যায়, তার মাথায় বসানো হয়েছে শিল্পীর মূর্তি। পাশাপাশি, ওই সড়কের নামকরণও সম্প্রতি তাঁর নামে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মূর্তিটি উন্মোচন হওয়ার কথা।
সেই মূর্তি অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে মোরাদাবাদ-হরিদ্বার জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) এবং বিজেপির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ওই মূর্তিটি অপসারণ করতে হবে। স্থানীয়রা রীতিমতো মোরাদাবাদ মিউনিসিপ্যালকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মূর্তিটি অপসারণ করা না হলে এই আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হবে। শুধু তাই নয়, কালো পলিথিন শিট এনে ঢেকে দেওয়া হয় মূর্তিটি। সামনে রাখা হয় প্লাকার্ড। পাশাপাশি, তাঁদের দাবি, সেখানে সুভাষ চন্দ্র বোসের মূর্তি প্রতিস্থাপন করতে হবে।
এবিষয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্থানীয় নেতা জয়দেব যাদব বলেন, ‘এটি একটি গুরুতর সমস্যা। সুভাষ চন্দ্রের মূর্তি প্রতিস্থাপন না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব’। অন্যদিকে, মোরাদাবাদের মেয়র বিনোদ আগরওয়াল বলেন, ‘আমি নেতাদের সঙ্গে কথা বলব এবং অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা করব। রাস্তার আন্দোলনের চেয়ে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা সর্বদাই ভালো’।
মোরাদাবাদেরই সন্তান উস্তাদ আহমেদ জান খান থিরাকওয়ার। ১৮৯২ সালে জন্ম তাঁর। ১৯৭৬ সালে ৮৪ বছর বয়সে মারা যান বিখ্যাত তবলাবাদক। ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীত জগতের খ্যাতনামী শিল্পী ছিলেন উস্তাদ আহমেদ জান। কয়েক দশক ধরে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তবলা পরিদর্শনের মাধ্যমে। বিশ্বমঞ্চেও সমাদৃত হয়েছেন তিনি। একক তবলাবাদক হিসেবে যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্ম ভূষণ’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন