
মধ্যপ্রদেশে বিজয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপির হারের অন্যতম কারণ দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব! অভিযোগ উঠছে, পরাজিত প্রার্থী তথা বিজেপি নেতা রামনিবাস রাওয়াতের হয়ে প্রচার করেননি কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
উপনির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মধ্যপ্রদেশের চারবারের বিধায়ক তথা মধ্যপ্রদেশের পরিবেশ মন্ত্রী রামনিবাস রাওয়াত। মুখ্যমন্ত্রী সহ বিজেপির অন্যান্য হেভিওয়েট রাজ্য নেতৃত্বকে প্রচার করতে দেখা গেলেও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে প্রচারে দেখা যায়নি। সিন্ধিয়া জানান তাঁকে রামনিবাসের হয়ে প্রচার করতে বলা হয়নি। তাই তিনি প্রচার করেননি। যদিও বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে নির্বাচনী প্রচারে গরহাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
পরাজয়ের পর রামনিবাস রাওয়াত বলেন, কিছু লোক আমার মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টা হজম করতে পারেননি। অনেকেই সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করেছে। কেউ কেউ ভেবেছিলেন আমি জিতে গেলে তাঁদের পদ চলে যেতে পারে।
বিজয়পুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী মুকেশ মালহোত্রার কাছে ৭৩৬৪ ভোটে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী রামনিবাস রাওয়াত। কংগ্রেস প্রার্থীর মোট প্রাপ্ত ভোট ১০০৪৬৯ এবং বিজেপি প্রার্থী পান ৯৩,১০৫টি ভোট।
প্রসঙ্গত, রামনিবাস রাওয়াত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে কংগ্রেসের সাথে বচসার কারণে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর সাথে আরও অনেক কংগ্রেস বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে আসেন। রামনিবাস ছিলেন কংগ্রেসেই। 'অপারেশন লোটাস'-র মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন কংগ্রেসের কমল নাথ। ক্ষমতা দখল করেন শিবরাজ শিং চৌহান। এরপর ২০২৪ সালে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন রামনিবাস। সেই যোগদানের অনুষ্ঠানেও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দেখা যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন