
গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে টানা ৩০ দিন কোনও উচ্চপদস্থ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আটক বা ধৃত থাকলে, সেই প্রতিনিধির পদ কেড়ে নেওয়া হবে। বুধবার সংসদে এই সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে। প্রস্তাবিত এই আইনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
সংবিধান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কেবল দোষী সাব্যস্ত হওয়া জনপ্রতিনিধিদেরই তাঁদের পদ থেকে সরানো যেত। কিন্তু নতুন প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হলে এবং টানা ৩০ দিন আটক রাখা হলে (অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও), তাহলে ৩১তম দিনে তাঁদের নিজে থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণ করা হবে তাঁদের। রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালদের হাতে এই অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হবে।
যদিও এক্ষেত্রে কোন ধরণের ফৌজদারি অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তার কোনও বর্ণনা দেওয়া হয়নি। তবে অভিযুক্তকে কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে খুন, বড় মাত্রার দুর্নীতির মতো গুরুতর অপরাধও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বুধবার সকালে বিরোধী দলগুলি বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক করেছে। তাঁরা বিলটিকে "কঠোর" এবং "অসাংবিধানিক" বলে অভিহিত করেছেন এবং ভোটারদের সতর্ক করেছেন যে বিজেপি দেশকে "পুলিশ রাষ্ট্র... একনায়কতন্ত্র"তে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় এই বিলটি পেশ করবেন। এই বিল এবং আরও তিনটি বিল - the Government of Union Territories (Amendment) Bill 2025, the Constitution (One Hundred And Thirtieth Amendment) Bill 2025, and the Jammu and Kashmir Reorganisation (Amendment) Bill 2025 - সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন