

দলের নির্বাচিত ৪ বিধায়কের বদলে নিজের ছেলেকে মন্ত্রী করে কড়া সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (RLM) প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহা। তাঁর বিরুদ্ধে পরিবারবাদের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কিছু মহল। গত ২০ নভেম্বর বিহারে নীতিশ কুমার মন্ত্রীসভায় নির্বাচিত বিধায়ক না হওয়া সত্ত্বেও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার ছেলে দীপক প্রকাশ। উল্লেখ্য, নির্বাচিত ৪ বিধায়কের মধ্যে মন্ত্রীর স্ত্রী স্নেহলতাও আছেন।
ছেলেকে মন্ত্রী করার পরেই দলের ভেতর এবং বাইরে থেকে সমালোচনার ঝড় ধেয়ে আসে কুশওয়াহার দিকে। সাফাই গেয়ে এরপরেই তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) গত ২১ নভেম্বর এক দীর্ঘ পোষ্ট করেন। যে পোষ্টে তিনি জানান, নিজের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। তাঁর বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ উঠলেও অতীতের মত ভুল না করে দলকে টিকিয়ে রাখতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও এই পোষ্টের পরেও সমালোচনা থামেনি।
ওই পোষ্টে কুশওয়াহা দাবি করেছেন, “…যদি আপনি আমাদের সিদ্ধান্তকে পরিবারবাদ হিসাবে চিহ্নিত করে থাকেন, তাহলে দয়া করে আমার অসহায়ত্ব বুঝুন। দলের অস্তিত্ব এবং ভবিষ্যত রক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য এই পদক্ষেপটি কেবল প্রয়োজনীয়ই ছিল না, অনিবার্যও ছিল। আমি সব কারণ প্রকাশ্যে বলতে পারবো না, তবে আপনারা সকলেই জানেন যে অতীতে, দল ভেঙে দেবার মতো একটি অপ্রিয়, প্রায় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল, বিহার জুড়ে যার তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। তারপরেও, এক বিরাট সংগ্রামের পর, আপনাদের আশীর্বাদে, দল এমপি এবং বিধায়কদের নির্বাচিত করেছে। মানুষ জিতেছে এবং চলে গেছে।… আমরা শূন্যে পৌঁছেছি। এই ধরণের পরিস্থিতি যাতে আবার না ঘটে সে সম্পর্কে চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
তাৎপর্যপূর্ণভাবে কুশওয়াহা ওই পোষ্টে দলের সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন, “…অন্য কোনও বিকল্প আমাদের আবার শূন্যে ফিরিয়ে আনতে পারত। ভবিষ্যতে আমরা কতটা জনসমর্থন পাব তা আমি জানি না। কিন্তু নিজেরাই শূন্যে পৌঁছানোর বিকল্পটি তৈরি করা ঠিক ছিল নয়। …বর্তমান সিদ্ধান্তটি পরিবারবাদের অভিযোগের দিকে নিয়ে যাবে জানা সত্ত্বেও, আমাকে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।…যা আমার কাছে বিষপানের সমতুল্য।”
ভারতের রাজনীতিতে পরিবারবাদের অভিযোগ বহু পুরোনো। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও বারবার কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে পরিবারবাদের অভিযোগ তোলা হয়। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির অন্দরেই একাধিক উদাহরণ আছে। এবার বিজেপি তথা এনডিএ জোটসঙ্গী আরএলএম-এর বিরুদ্ধে সরাসরি পরিবারবাদের অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন