

বিহারে নবনির্বাচিত এনডিএ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও স্বরাষ্ট্রদপ্তর হারাতে হল বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে। তাঁর বদলে এবার বিহারের স্বরাষ্ট্রদপ্তর পেয়েছেন বিজেপির সম্রাট চৌধুরী। যিনি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রীও। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিহারের স্বরাষ্ট্রদপ্তর নিজের কাছেই রেখেছিলেন নীতিশ কুমার। যদিও এনডিএ শিবিরের ‘ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টরি’র পরেও তাঁকে নিজের দখলে থাকা দপ্তর হারাতে হল জোটসঙ্গীর কাছে। সূত্র অনুসারে, চাপ দিয়েই নীতিশ কুমারকে স্বরাষ্ট্রদপ্তর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।
গতকালই বিহারের মন্ত্রীদের দপ্তর বন্টন করা হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর দশম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতিশ কুমারের শপথ গ্রহণের সঙ্গেই নতুন মন্ত্রীসভার আরও ২৬ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। যাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মন্ত্রী বিজেপির। এছাড়াও জেডিইউ-র ৯, এলজেপি রাম বিলাসের ২, হ্যাম এবং আরএলএম-এর ১ জন করে। নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হবার সুবাদে সবথেকে বেশি মন্ত্রী হয়েছে বিজেপি থেকেই।
মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের হাতে থাকছে প্রশাসন এবং যেসব বিভাগ এখনও বন্টিত হয়নি সেইসব বিভাগ।
বিজেপির হাতে যে যে দপ্তর
এবারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় কুমার সিনহা।
● রাজ্যের রাজস্ব এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর সামলাবেন বিজয় কুমার সিনহা। এছাড়াও তাঁর হাতেই থাকবে খনি ও ভূবিদ্যা দপ্তর।
● এই দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির রাম সুরাট কুমারকে।
● বিজেপির সম্রাট চৌধুরীর হাতে থাকবে স্বরাষ্ট্র দপ্তর।
● বিজেপির মঙ্গল পান্ডে পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও আইন দপ্তর।
● শিল্প দপ্তর পেয়েছেন বিজেপির দিলীপ জয়সোয়াল।
● বিজেপির নীতিন নবীন পেয়েছেন সড়ক নির্মাণ, আবাসন ও নগর উন্নয়ন দপ্তর।
● কৃষি মন্ত্রক পেয়েছেন বিজেপির রাম কৃপাল যাদব।
● বিজেপির রমা নিষাদ পেয়েছেন অনগ্রসর ও অতি-অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর।
● বিজেপির লক্ষেন্দ্র রোশনকে তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি কল্যাণ দপ্তর দেওয়া হয়েছে।
● বিজেপির শ্রেয়সী সিং পেয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি ও ক্রীড়া দপ্তর।
● পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং সহযোগিতা দপ্তর দেওয়া হয়েছে বিজেপির প্রমোদ চন্দ্র বংশীকে।
● বিজেপির সঞ্জয় সিং টাইগার দায়িত্ব পেয়েছেন শ্রম সম্পদ দপ্তরের।
● পর্যটন, শিল্প, সংস্কৃতি ও যুব বিষয়ক দপ্তর পেয়েছেন বিজেপির অরুণ শঙ্কর প্রসাদ।
● পশু ও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রক পেয়েছেন বিজেপির সুরেন্দ্র মেহতা।
● বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর পেয়েছেন বিজেপির নারায়ণ প্রসাদ।
জেডিইউ-র হাতে যে যে দপ্তর
● পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রণালয়, সামাজিক উন্নয়ন দপ্তর পেয়েছেন জেডিইউ-র মদন সাহানী।
● জলসম্পদ, সংসদ বিষয়ক দপ্তর, তথ্য এবং জনসংযোগ দপ্তর পেয়েছেন বিজয় কুমার চৌধুরী।
● শিক্ষা দপ্তর পেয়েছেন জেডিইউ-র সুনীল কুমার।
● গ্রামীণ কর্ম দপ্তর পেয়েছেন জেডিইউ-র অশোক চৌধুরী।
● জেডিইউ-র বিজেন্দ্র যাদব পেয়েছেন অর্থ, শক্তি, বাণিজ্য কর, যোজনা মন্ত্রক।
● গ্রামোন্নয়ন দপ্তর পেয়েছেন জেডিইউ-র শ্রবণ কুমার।
● খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর পেয়েছেন জেডিইউ-র লেসি সিং।
● মহম্মদ জামা খান পেয়েছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তর।
এলজেপি (আরবি), হ্যাম ও আরএলএম-এর হাতে যে যে দপ্তর
● পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন আরএলএম-এর দীপক প্রকাশ।
● হ্যাম-এর সন্তোষ কুমার সুমন পেয়েছেন লঘু জল সংসাধন দপ্তর।
● এলজেপি মন্ত্রী সঞ্জয় পাসওয়ান এবং সঞ্জয় কুমার সিংহ পেয়েছেন যথাক্রমে আখ শিল্প এবং পিএইচইডি দপ্তর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন