
আগামী নভেম্বর মাসে বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। সূত্রের খবর, ৫ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তিন দফায় হতে পারে ভোটগ্রহণ।
বিহারে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২২ নভেম্বর। তার আগেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। ২৮ অক্টোবর ছট পুজো। বিহারের সবথেকে বড় উৎসব হল ছট পুজো। তারপরই নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার আগামী সপ্তাহে বিহার সফরে যাবেন। সেখানে তিনি ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তারপরই সম্ভবত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।
পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলির মতো এবারও বিহারে একাধিক দফায় ভোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ২০২০ সালের ভোট হয়েছিল তিন দফায়, আর ২০১৫ সালে হয়েছিল পাঁচ দফায়।
এদিকে, বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় (এসআইআর) খসড়া ভোটার তালিকা থেকে প্রায় ৬৫ লাখ নাম মুছে ফেলার অভিযোগে উত্তাল সে রাজ্যের রাজনীতি। বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট অভিযোগ তুলেছে, প্রকৃত ভোটারদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করেছে, কোনো বেআইনি কাজ ধরা পড়লে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকাও বাতিল করে দেওয়া হবে।
বিহারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে এই নির্বাচন হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত। কারণ এনডিএ এবং বিরোধী মহাজোট ছাড়াও এবার বিহারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সূরজ পার্টি। ইতিমধ্যেই বিহারের মানুষের মধ্যে বেশ কিছুটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
গতবার নীতিশ কুমারের জেডিইউ ১১৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪৩ এবং বিজেপি ১১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৪ আসনে জয়ী হয়। এছাড়াও হিন্দুস্তান আওয়ামী মোর্চা ৭ আসনে লড়াই করে ৪ এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি ১১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪ আসনে জয়ী হয়। অর্থাৎ এনডিএ জোট মোট ১২৫ আসনে জয়ী হয়েছিল। বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ আসন। অন্যদিকে বিরোধী মহাজোটের মোট আসন ছিল ১১০।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন