বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা, যারা দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট দিতে দেখা গেছে। শুক্রবার বাঁকায় এক নির্বাচনী জনসভায় এই অভিযোগ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, এই ধরণের ঘটনা ভোট প্রক্রিয়ার পবিত্রতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়। এদিন বাঁকা ছাড়াও ভাগলপুরেও এক জনসভায় ভাষণ দেন রাহুল গান্ধী।
শুক্রবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বক্তব্য রাখছিলেন রাহুল গান্ধী। হরিয়ানায় ‘ভোট চুরি’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তথ্য প্রমাণ সহ দেখিয়েছি হরিয়ানায় ২ কোটি ভোটারের মধ্যে ২৫ লক্ষ ভোটার ভুয়ো। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন শাসক দলের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের জয় নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট, ছত্তিশগড়ে একই ধরণের জালিয়াতি করা হয়েছে। এসব জায়গায় ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোট দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান একজন ব্যক্তিকে একটি ভোট দেবার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু হরিয়ানার ক্ষেত্রে দেখা গেছে এই নীতির লঙ্ঘন করা হয়েছে। এক মহিলার নাম ভোটার তালিকায় একাধিক জায়গায় দেখা গেছে। আমার অভিযোগের পরেই বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে রক্ষা করতে নেমেছে, যদিও আমার কোনও অভিযোগকে অস্বীকার করেনি।
বিহারের ভোটারদের সাবধান করে জনসভা থেকে রাহুল গান্ধী বলেন, এই একই ধরণের জালিয়াতি এবার বিহারে করার চেষ্টা হচ্ছে এবং জনমত চুরি করার চেষ্টা চলছে। ভোট নিয়ে এই জালিয়াতি চলছেই। ভোট চুরি করেই নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন – যা নিয়ে মানুষের মনে আর কোনও সংশয় নেই।
সোশ্যাল মিডিয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, একুশ শতকের সব থেকে বড়ো নেশা হল রিলস-এর নেশা। এনডিএ সরকার যুব সমাজকে রিলস-এর নেশায় ডুবিয়ে রেখে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো থেকে দূরে রাখতে চাইছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সমস্যাগুলো লঘু হয়ে যাচ্ছে।
ভাগলপুরের জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেন, বিহারের কৃষক, শ্রমিক, বয়ন শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক থেকে কোনও ঋণও দেওয়া হয় না, তাঁদের ঋণও মকুব হয় না। কিন্তু সবসময় কিছু কিছু কর্পোরেটের ঋণ মকুব করে দেওয়া হয়।
কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, "মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি। ... আমরা যাই বলিনা কেন, আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দেখতে পাবেন... কিন্তু টিভি চ্যানেলে দেখতে পাবেন না। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং নির্বাচন কমিশন হরিয়ানার ভোট চুরি করেছে, এবং আমাদের কাছে কালো এবং সাদা প্রমাণ আছে... আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে হরিয়ানা সরকার 'চোরি কি সরকার' (চুরির মাধ্যমে গঠিত সরকার)।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন