* বিহারের তিন কেন্দ্রে তিন প্রধান দলের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল।
* আরজেডি প্রার্থী শ্বেতা সুমনের অভিযোগ দিল্লির চাপে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
* মোহানিয়া কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত আরজেডি-র।
বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর বিহারে দ্বিতীয় দফার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপরেই নির্বাচনী ময়দানে কতজন প্রার্থী রইলেন তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। গতকাল পাটনায় আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটের সাক্ষাৎকারের পর আরজেডি কংগ্রেসের বিবাদ অনেকটাই মিটে গেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মহাগঠবন্ধনের আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে মহাজোটের আসন সমঝোতার কথা চূড়ান্ত ভাবে জানা যাবে।
বিহারের নির্বাচনপর্বে মনোনয়ন পরীক্ষার সময় বাতিল হয়েছে ইন্ডিয়া মঞ্চের আরজেডি প্রার্থী শ্বেতা সুমনের মনোনয়ন। কৈমুর জেলার মোহানিয়া কেন্দ্রে আরজেডি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে মহাজোট। মনোনয়ন বাতিলের পর শ্বেতা সুমন সাংবাদিকদের জানান, তাঁর মনোনয়ন বাতিলের পেছনে চক্রান্ত আছে। চাপের মুখে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
যদিও নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, শ্বেতা সুমন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ফলে তিনি বিহারে তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নন। এছাড়াও তাঁর জাতিগত শংসাপত্র নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে কমিশন। সূত্র অনুসারে, তাঁর মনোনয়ন নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি।
শ্বেতা সুমনের মনোনয়ন বাতিলের পর ওই কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী রবি পাসোয়ানকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে আরজেডি। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব জানান, "মহাজোটের শরিকদের সাথে আলোচনার পর, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) মোহনিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী শ্রী রবি পাসোয়ান (শ্রী ছেদি পাসোয়ানের পুত্র) কে সমর্থন করার ঘোষণা করছে। গত ২০ বছর ধরে রাজ্যকে জর্জরিত করে তুলেছে বেকারত্ব, দুর্নীতি, অপরাধ, মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই!"
এর আগে পূর্ব চম্পারণ জেলার সুগাউলি কেন্দ্রের বর্তমান আরজেডি বিধায়ক শশীভূষণ সিং-এর মনোনয়ন বাতিল হয়। এবার তিনি ভিআইপি-র হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু ভিআইপি নথিবদ্ধ আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল নয়, সেক্ষেত্রে তাঁর মনোনয়ন পত্রে ১০ জন প্রস্তাবকের স্বাক্ষরের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শশীভূষণ সিং-এর মনোনয়ন পত্রে মাত্র ১ জন প্রস্তাবকের স্বাক্ষর থাকার কারণে ওই আবেদন বাতিল হয়েছে। ফলে এই দুই কেন্দ্রে আরজেডি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই দুই কেন্দ্র সম্পর্কে আরজেডি কী সিদ্ধান্ত নেবে তা আজকের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যদিও শুধু মহাজোট শিবিরেই নয়, এনডিএ শিবিরেও মনোনয়ন বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। সারণ জেলার মারহাউরা কেন্দ্রের এলজেপি (রামবিলাস) প্রার্থী সীমা সিং-এর মনোনয়নও বাতিল হয়েছে। এক্ষেত্রে কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে তিনি যে তথ্যাদি জমা দিয়েছিলেন তাতে স্বচ্ছতার অভাব ছিল। এই কেন্দ্রেই এলজেপি (আরভি) ছাড়াও মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বহুজন সমাজ পার্টি সহ আরও তিন নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন।
২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর দু’দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৪ নভেম্বর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন