

“এটা খুবই আতঙ্কের যে বিজেপি নেতৃত্ব কোনও বিরতি না দিয়েই তাদের যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছেন। যিনি এতদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁর সম্পর্কে এই ধরণের কথা বলা বিস্ময়ের”। শনিবার বিহারের পাটনায় সিপিআইএম-এর নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। সম্প্রতি আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈকে ‘পাকিস্তানের এজেন্ট’ বলে উল্লেখ করেন। এই প্রসঙ্গেই বৃন্দা কারাত একথা জানান।
শনিবার সিপিআইএম-এর নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে প্রাক্তন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য বলেন, এনডিএ বিহারে ‘নেতিবাচক প্রচার’ চালাচ্ছে, বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলছে। কারণ কুড়ি বছর বিহার শাসন করার পরেও তাদের কাছে দেখানোর বা বলার মত কোনও সাফল্য নেই। তাই চরম হতাশা থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে অপবাদ দিচ্ছে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মোকামায় জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলার চাঁদ যাদবের হত্যাকান্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে এনডিএ শাসনকালে বিহারে মাফিয়া রাজ এবং জঙ্গল রাজ চলছে। নিহত জন সূরজ পার্টি নেতার সমর্থকদের অভিযোগ, এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জেডিইউ প্রার্থী এবং প্রাক্তন বিধায়ক অনন্ত সিং জড়িত আছে।
তিনি আরও বলেন, সিপিআইএম-এর ইশতেহার ইন্ডিয়া মঞ্চের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এখানেও বিহারে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। বৃন্দা বলেন, বিহার থেকে মানুষ জীবিকার সন্ধানে গুজরাটের মত জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হয়, যেখানে সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম দৈনিক মজুরি থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়।
শনিবার পাটনার জামাল রোডে অবস্থিত সিপিআই(এম) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার প্রকাশ করে, বৃন্দা কারাত বলেন, সম্পদ এবং দক্ষ কর্মীবাহিনী থাকা সত্ত্বেও, বিজেপি এবং নীতিশ কুমার গত ২০ বছর ধরে বিহারকে লুণ্ঠন ও ধ্বংস করেছে। বিকল্প উন্নয়ন নীতির মাধ্যমে মহাজোট এই নির্বাচনে বিহারের জনগণের কাছে নিজেকে একটি শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করছে। সিপিআই(এম) কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ন্যায্য মজুরি সহ শ্রমিক শ্রেণীর অর্জিত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বৃন্দা কারাত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছিলেন অবধেশ কুমার, সর্বোদয় শর্মা, প্রভুরাজ নারায়ণ রাও, রামপরি, অনুপম কুমার সহ অন্যান্য সিপিআইএম নেতৃত্ব।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন