
বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই এবং সিপিআইএম দাবি জানালো ৩৫ আসনের। দুই দলের পক্ষ থেকে শুক্রবার একথা জানানো হয়েছে। দেরি না করে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী ভূমিকা তুলে ধরার জন্য দ্রুত আসন সমঝোতা সেরে ফেলার আবেদনও জানিয়েছে দুই বাম দল। দুই দলের দাবি অনুসারে, সিপিআই ২৪ এবং সিপিআইএম ১১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছে।
বিহারের মহাজোটে আরজেডি ও কংগ্রেস ছাড়াও সিপিআইএমএল, সিপিআই, সিপিআইএম, ভিআইপি, এলজেপি (পারস) এবং ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা আছে। এদিন সিপিআই এবং সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে অবিলম্বে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করারও দাবি জানানো হয়েছে।
দুই দলের পক্ষ থেকে করা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক লালন চৌধুরী বলেন, আসন সমঝোতায় আরও দেরি হলে তা বিরোধী ঐক্যের পক্ষে ও রাজ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের তৃণমূল স্তরে কর্মী আছে এবং আমাদের কর্মীরা আদর্শগতভাবে দৃঢ় অবস্থানে আছে। এনডিএ সরকারকে উতখাতের জন্য গত পাঁচ বছর ধরে আমরা নিবিড়ভাবে তৃণমূল স্তরে প্রচার চালিয়ে গেছি। যদি আমরা বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি তা মহাজোটের জন্য লাভবান হবে।
সিপিআই রাজ্য সম্পাদক রাম নরেশ পান্ডে বলেন, মহাজোটের বড়ো শরিকদের সিপিআই, সিপিআইএম-এর জন্য সামান্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। বামেদের দুই রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের কথাতেই উঠে আসে গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও আসন জয়ের পরিসংখ্যান। তাঁরা গুরুত্ব দেন গতবারের স্ট্রাইক রেটের দিকে।
উল্লেখ্য, গতবার ৬ আসনে ও ৪ আসনে লড়াই করে সিপিআই ও সিপিআইএম জয়ী হয় ২টি করে আসনে। যদিও দুই দলের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয়েছে, যেসব আসনে তারা গতবার পরাজিত হয়েছিল তাতে পরাজয়ের ব্যবধানও খুবই কম ছিল।
দুই নেতাই এদিন জানিয়েছেন, মহাজোটের কাছে বারবার অতিরিক্ত আসনের দাবি জানানো হলেও তা নিয়ে মহাজোটের বড়ো শরিকদের পক্ষ থেকে মৌখিক আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।
সিপিআইএম
উল্লেখ্য গত ২০২০ বিহার বিধানসভা নির্বাচনে যে দুই কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী পরাজিত হয় তার মধ্যে পিপড়া কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী পরাজিত হয় ৮,১৭৭ ভোটে এবং মৈথানী কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী তৃতীয় স্থানে শেষ করলেও প্রথম ৩ প্রার্থী প্রায় সমান সমান ভোট পেয়েছিল। এই কেন্দ্রে এলজেপি প্রার্থী পেয়েছিল ৬১,৩৬৪ ভোট, জেডিইউ প্রার্থী ৬১,০৩১ ভোট এবং সিপিআইএম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৬০,৫৯৯ ভোট। অর্থাৎ জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে সিপিআইএম প্রার্থীর ব্যবধান ছিল ৭৬৫ ভোট।
সিপিআই
অন্যদিকে যে ৪ আসনে সিপিআই প্রার্থী পরাজিত হয় তার মধ্যে বাছওয়াড়া কেন্দ্রে সিপিআই প্রার্থী পরাজিত হয় ৪৮৪ ভোটে। হরলাখি কেন্দ্রে সিপিআই প্রার্থী পরাজিত হয় ১৭,৫৯৩ ভোটে, ঝঞ্ঝারপুর কেন্দ্রে সিপিআই প্রার্থী পরাজিত হয় ৪১,৭৮৮ ভোটে, রূপাউলি কেন্দ্রে সিপিআই প্রার্থী তৃতীয় স্থানে শেষ করেন। জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ২২,৩৬১ ভোটের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন