

বিহারে ফের ক্ষমতা দখল করতে চলেছে এনডিএ। এবারেও বিরোধী আসনে বসতে হতে পারে তেজস্বী যাদবদের। তবে এই নির্বাচনে সবথেকে নজরকাড়া প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ ৫টির বেশি আসন পাবে না! একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষায় এই তথ্যই উঠে আসছে। যদিও মহাগঠবন্ধনের নেতারা বুথ ফেরত সমীক্ষাকে অস্বীকার করেছেন।
আগামী ১৪ নভেম্বর বিহার ভোটের ফলপ্রকাশ। এবার বিহারে পালাবদল হবে নাকি পুনরায় সরকার গড়বে এনডিএ তা ওই দিনই জানা যাবে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় অবশ্য এনডিএ শিবিরের দিকেই পাল্লা ভারী। সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে সরকার গড়বে বলেই ইঙ্গিত।
বিহার বিধানসভার আসনসংখ্যা ২৪৩টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১২২টি আসন। একনজরে দেখা যাক ৭টি বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল -
পিপলস পালস
এনডিএ: ১৩৩-১৫৯
মহাগঠবন্ধন: ৭৫-১০১
জন সূরজ পার্টি: ০-৫
অন্যান্যরা: ২-৮
পি-মার্ক
এনডিএ: ১৪২-১৬২
মহাগঠবন্ধন: ৮০-৮৯
জন সূরজ পার্টি: ১-৪
অন্যান্যরা: ০-৩
চাণক্য স্ট্র্যাটেজিস
এনডিএ: ১৩০-১৩৮
মহাগঠবন্ধন: ১০০-১০৮
জন সূরজ পার্টি: ০
অন্যান্যরা: ৩-৫
দৈনিক ভাস্কর
এনডিএ: ১৪৫-১৬০
মহাগঠবন্ধন: ৭৩-৯১
জন সূরজ পার্টি: ০-৩
অন্যান্যরা: ৫-৭
ম্যাট্রিজ
এনডিএ: ১৪৭-১৬৭
মহাগঠবন্ধন: ৭০-৯০
জন সূরজ পার্টি: ০-২
অন্যান্যরা: ২-৮
জেভিসি
এনডিএ: ১৩৫-১৫০
মহাগঠবন্ধন: ৮৮-১০৩
জন সূরজ পার্টি: ০-১
অন্যান্যরা: ৩-৬
ডিভি রিসার্চ
এনডিএ: ১৩৭-১৫২
মহাগঠবন্ধন: ৮৩-৯৮
জন সূরজ পার্টি: ২-৪
অন্যান্যরা: ১-৮
বিহারের এক্সিট পোল অস্বীকার করেছে কংগ্রেস, আরজেডি। আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, "এক্সিট পোল অতীতেও ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ভুল প্রমাণিত হবে। আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে ১৪ নভেম্বর মহাগঠবন্ধন এবং তেজস্বী যাদব বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন। বিহারের মানুষ এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে এবং তেজস্বীকে সরকার গঠনের জন্য ভোট দিয়েছেন"।
কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ এক্সিট পোল অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "মহাগঠবন্ধন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে। আর নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন না"।
পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব জানান, "বিহারে হয় ত্রিশঙ্কু বিধানসভা, না হয় মহাগঠবন্ধন জিতবে। এক্সিট পোল কবে সঠিক ছিল? আমি বিশ্বাস করি যে বিহারের মানুষ মহাগঠবন্ধনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন"। তবে এনডিএ সরকারে ফিরবে নাকি মহাগঠবন্ধন সরকার গড়বে তা আগামী ১৪ নভেম্বরই জানা যাবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন