
শুক্রবার বিহার সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শেষ পাঁচ মাসে এই নিয়ে পাঁচ বার ভোটমুখী বিহারে এলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বিহার সফরের আগে সংরক্ষণ নীতি এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রশ্নে বিজেপি-জেডিইউ জোট সরকারকে তীব্র আক্রমণ করল কংগ্রেস (Congress)। বিহার সরকার সংরক্ষণ ইস্যুতে সম্পূর্ণ হাল ছেড়ে দিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ।
কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, বিহারে 'ডবল-ইঞ্জিন' সরকার জাতি ভিত্তিক গণনা এবং সংরক্ষণের মূল প্রশ্নকে উপেক্ষা করছে। বিহার সরকার জাতি ভিত্তিক গণনা প্রস্তাব এনেছে এবং তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি এবং ইবিসিদের জন্য ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণের সুপারিশ করেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই সরকার কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছে।"
তিনি আরও জানান, কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই তিনটি নির্দিষ্ট পথে ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণের দাবিতে সোচ্চার এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত। প্রথমত, বিহার সংরক্ষণ আইনকে সংবিধানের নবম তফসিলে স্থান দিতে হবে, যেমন তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে ১৯৯৪ সালে নরসিমা রাও সরকার করেছিল।"
দ্বিতীয়ত, সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ সীমা তুলে দিতে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। তাঁর কথায়, "বিগত ছয় দশকে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ের ভিত্তিতে এই সীমা জারি ছিল, কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় এই সীমা অপর্যাপ্ত।"
তৃতীয়ত, তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংরক্ষণের জন্য সংবিধানের ১৫(৫) অনুচ্ছেদ পূর্ণ মাত্রায় প্রয়োগের দাবি জানান। কংগ্রেস নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, অনুচ্ছেদ ১৫(৫) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের সুযোগ করে দেয়। ২০০৬ সালে ডঃ মনমোহন সিং-এর সরকারের প্রবর্তিত সাংবিধানিক সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখার পর গত ১১ বছর ধরে এটি বাস্তবায়িত হয়নি।
জয়রাম রমেশ বলেন, কংগ্রেস আসন্ন সংসদের বাদল অধিবেশনে (যা ২১ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে) এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করবে। তাঁর মতে, সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন