
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেল আরজেডি। লালু প্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদব এবং রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে চার্জ গঠন করল দিল্লির একটি আদালত। তবে নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি আরজেডির।
দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত প্রতারণা, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারায় চার্জ গঠন করে। তিন হেভিওয়েট নেতাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন, তাঁরা বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবেন।
এই মামলাটির সূত্রপাত ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে লালু প্রসাদ যাদবের রেলমন্ত্রী থাকার সময় Indian Railway Catering and Tourism Corporation (IRCTC)-র দুটি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে।
অভিযোগ, রাঁচি ও পুরীর বিএনআর হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি সুজাতা হোটেলকে দেওয়া হয়। এর বিনিময়ে লালু প্রসাদ যাদব নাকি একটি বেনামি কোম্পানির মাধ্যমে তিন একর জমি পান।
২০১৭ সালে সিবিআই এই মামলার এফআইআর দায়ের করে। সিবিআই আদালতে জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। অন্যদিকে, লালু যাদবের পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, কোনও অনিয়ম হয়নি এবং চুক্তি স্বচ্ছভাবেই দেওয়া হয়েছিল।
আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, “সম্ভাব্য প্রতারণাকেও প্রতারণা হিসেবেই বিচার করতে হবে” এবং “ষড়যন্ত্র সূক্ষ্ম হলেও আদালতের চোখে তা লুকোনো যাবে না।” আদালত আরও জানায়, প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায় লালু প্রসাদ যাদব ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেন্ডার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছিলেন এবং কম মূল্যে জমি নেওয়ার বিনিময়ে চুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
বিহারে আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর দু'দফায় নির্বাচন রয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরকে হারাতে মরিয়া আরজেডি। এই রায়কে আরজেডির জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ ভোটের ঠিক আগে এই মামলা এনডিএ শিবিরকে নতুন করে দুর্নীতির ইস্যুতে আক্রমণের সুযোগ করে দেবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন