
মধ্যপ্রদেশের ভোপালের সেই বিতর্কিত ৯০ ডিগ্রির এল আকৃতির রেলসেতুটিকে পুনর্নির্মাণ করা হবে। কর্তৃপক্ষের তরফে এমনই জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ভোপালের ঐতিহাসিক আইশবাগ স্টেডিয়ামের কাছে নবনির্মিত একটি রেলসেতু সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটিতে অদ্ভূত ভাবে ৯০ ডিগ্রি বাঁক রাখা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে মহামাই-কা বাগ, পুষ্পা নগর এবং রেল স্টেশনের সঙ্গে নিউ ভোপালের দূরত্ব কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে। কিন্তু ব্রিজের অদ্ভুত নকশা দেখে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, এরকম তীক্ষ্ণ বাঁক গাড়িচালকদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
সেতুর ছবি সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। ওই সেতুর নকশাকে হাস্যকর এবং বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন অনেকে। অন্যদিকে, সেতুটিকে স্থানীয়রা "বিভ্রান্তির প্রতিকৃতি" বলে অভিহিত করেছেন। সমাজমাধ্যমে নেটিজনদের মতে, ৬৪৮ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৮.৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্লুপ্রিন্টের চেয়ে সরকারি নোটপ্যাডের লেখার মতো বেশি দেখাচ্ছে।
কংগ্রেস মুখপাত্র অভিনব বারোলিয়া এই সেতু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, "এটি বিপজ্জনক!" তাঁর কথায়, "এটি দেখতে ভিডিও গেমের সেতুর মতো"।
স্থানীয়রা এটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, "সেতুটিতে তিনটি ধারালো বাঁক রয়েছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক! এখানে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। সেতুটি ভালো, কিন্তু বাঁক মোটেও ভালো নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্রেকার এবং বাঁক বেশ বিপজ্জনক! বাঁকে আরও জায়গা থাকা উচিত"।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে শুরু হয় এই সেতুর কাছ। ১৮ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পটি ৩৬ মাসেরও বেশি সময় নিয়েছে তৈরি হতে। বিলম্বের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে - বৈদ্যুতিক লাইন স্থানান্তর এবং গণপূর্ত বিভাগ ও রেলের মধ্যে সমন্বয় সমস্যা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন