
* আবারও ৩ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হল আশারাম বাপুকে।
* ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করছেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু।
* আশারাম বাপুর অন্তর্বর্তী জামিনে শঙ্কিত নির্যাতিতার বাবা।
স্বঘোষিত বাবা আশারাম বাপু আমাদের পরিবারের সঙ্গে যে কোনও সময় যা খুশি তাই করতে পারেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগের মাঝেই আরও একবার ৩ মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাবার পর আশঙ্কা প্রকাশ করে একথা জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।
নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে ৩ মাসের জন্য আশারাম বাপুকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ মার্চ সেই সময়সীমা শেষ হবার কথা ছিল। তার আগেই আশারাম বাপুর আইনজীবী আবারও অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান। এবারেও সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁদের আইনজীবী তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। তাঁকে বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি এই জামিনের বিরোধিতা করে কোনও আবেদন জমা দেননি। যদিও আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সমস্ত কাগজে সই করে আইনজীবীর হাতে তুলে দিয়েছিলাম।
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, আশারাম যখন জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তখনই তাঁর সমর্থকরা বলেছিল আর আশারাম জেলে ফিরে যাবেন না। এখন দেখা যাচ্ছে সেই কথাই সত্যি হতে চলেছে। তিনি আরও বলেন, আশারাম বাপু যোধপুর থেকে ইন্দোর, উজ্জয়ন থেকে সুরাট, সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করছেন। তাহলে তিনি কী ধরণের অসুস্থ? এখন আমাদের পরিবারের বিপদ আরও বাড়ছে।
ধর্ষণ কান্ডে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুর একাধিকবার জামিন পাবার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে নির্যাতিতার বাবা বলেন, তিনি সবকিছুই ম্যানেজ করে নিচ্ছেন। ২০১৩ সালে আশারাম বাপু এই ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে আশারাম বাপুর যোধপুরের আশ্রমে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই সময় নির্যাতিতার বয়স ছিল ১৬ বছর।
আশারাম বাপুর এবারের জামিনের পর নির্যাতিতার বাবা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, যখন আশারাম জেলে ছিলেন তখন তা আমাদের জয় ছিল। এখন তিনি সেখানে সবকিছুই ম্যানেজ করছেন। আমি আশ্চর্য হচ্চি যে আদালত তাঁকে বারবার জামিন দিচ্ছে। প্রথমে ৭ দিন, পরে ১২ দিন, তারপর আড়াই মাস এবং এবারে ৩ মাস।
গত শুক্রবার গুজরাট হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন আশারাম। তাঁকে চিকিৎসার জন্য তিন মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে। আশারাম বাপুর আইনজীবী শালিন মেহতা আদালতে জানান, আশারাম বাপুর বয়স ৮৬ বছর এবং তিনি হার্ট এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এমতাবস্থায় তাঁর চিকিৎসা হতে পারে আয়ুর্বেদিক পঞ্চকর্মের মাধ্যমে। যে চিকিৎসার জন্য ৩ মাস সময় প্রয়োজন।
এই নির্যাতিতার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তাছাড়াও সেখানে সবসময় একজন নিরাপত্তা কর্মী ও দু’জন বন্দুকধারী পাহারা দিচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন