
স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুর সমর্থক, অনুরাগী এবং ভক্তদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে পুলিশি সুরক্ষা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ডিসকভারি ইন্ডিয়া এবং সংস্থার কয়েকজন কর্মচারী। আদালত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, রাজ্য সরকার এবং নোডাল এজেন্সিগুলিকে কর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
সম্প্রতি ডিসকভারি প্লাস ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে 'কাল্ট অফ ফিয়ার: আশারাম বাপু' ডকুমেন্টারি সিরিজ। অভিযোগ, তার পর থেকেই সংস্থার কর্মচারীদের হুমকি এবং ভয় দেখানো শুরু হয়। এমনকি কর্মীরা অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাড়ি থেকে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, “গৃহবন্দীর মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যা জীবন এবং স্বাধীনতার অধিকারকে ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত করছে। সামাজিক মাধ্যমে ডিসকভারি এবং এর কর্মীদের উদ্দেশ্যে ঘৃণামূলক মন্তব্য করা হচ্ছে। হুমকিও দেওয়া হচ্ছে”।
আবেদন অনুসারে, ৩০ জানুয়ারী ১০-১৫ জনের একটি দল ডিসকভারি ইন্ডিয়ার অফিসের বাইরে জড়ো হয়। এরা সকলে আশারাম বাপুর সমর্থক বলে জানা গেছে। অনুমতি ছাড়াই জোর করে অফিসের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন তারা। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও ওঠে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি রাজস্থান হাইকোর্ট স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। একটি ধর্ষণ মামলায় অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি। এর আগে ৭ জানুয়ারি অন্য এক ধর্ষণের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ৩১ মার্চ পর্যন্ত আশারামকে অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল।
২০১৩ সালে ধর্মগুরু আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে নিজেরই আশ্রমের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রাজস্থানের জয়পুর আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তার। এরপর ২০২২ সালে প্রথম বার রাজস্থান হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানান তিনি।
২০২৩ সালে উচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সে বছরই সুরাটের এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আশারামের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরে তার জামিনের আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত। এরপর চলতি বছরের শুরুতে দুই মামলাতেই জামিন পান তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন