আগামী ২১ ডিসেম্বর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে ইডি। তাঁকে ডাকা হয়েছে আর্থিক তছরুপ মামলায়। তবে তিনি হাজিরা দেবেন কিনা তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ গত ২ নভেম্বর ইডি হাজিরা এড়িয়ে ছিলেন কেজরিওয়াল।
প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, ২০০২ (Prevention of Money Laundering Act (PMLA)-র ৫০ নম্বর ধারায় ইডি কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে ব্যক্তিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে অথবা তাঁর কোনো প্রতিনিধিকে তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হতে হবে। যদি তিনি হাজিরা না দেন তাহলে ইডি তৃতীয় নোটিশ জারি করতে পারে। পাশাপাশি আদালতে গিয়ে কেজরিওয়ালের বিরদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানাতে পারে।
২০২২ সালে দিল্লি হাইকোর্টে ইডি জানিয়েছিল, আবগারি দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত সমীর মাহেন্দ্রুর সাথে ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন কেজরিওয়াল। ওই কলেই নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আপ নেতা বিজয় নায়ারের নাম নিয়েছিলেন। এই বিজয় নায়ারও আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, ২১ ডিসেম্বর যে কেজরিওয়াল হাজিরা দেবেন না তা এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে গেছে। আপের রাজ্যসভার সাংসদ সন্দীপ পাঠক জানান, ইডি ২১ ডিসেম্বর তলব করেছে ঠিকই। কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল হাজিরা দিতে পারবেন না। কারণ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি আছে তাঁর। তিনি 'বিপাসনা' কোর্স করার জন্য দিল্লির বাইরে যাচ্ছেন। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি থাকবেন না।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিপাসনা কোর্স করতে ঠিক কোন রাজ্যে যাচ্ছেন তা জানা যায়নি। বেঙ্গালুরু, রাজস্থান সহ দেশের একাধিক রাজ্যে বিপাসনা কোর্স করানো হয়। এই বিপাসনা হচ্ছে একধরণের ধ্যান। অনেকে বলেন এই ধ্যান করলে নাকি মন শান্ত থাকে। এককথায় মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত নভেম্বর মাসে ২ তারিখ কেজরিওয়ালকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ইডিকে চিঠি লিখে সমন প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি ইডি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন