News Click Row: নিউজক্লিক মামলায় তদন্তের জন্য আরও সময় চাইলো দিল্লি পুলিশ, পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর

People's Reporter: ২২ ডিসেম্বর নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ, সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স প্রধান অমিত চক্রবর্তীর বিচার বিভাগীয় মেয়াদ শেষ হবে। ওইদিন তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে।
প্রবীর পুরকায়স্থ, ফাইল ছবি
প্রবীর পুরকায়স্থ, ফাইল ছবিগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

নিউজক্লিক পোর্টাল মামলায় তদন্তের জন্য আরও সময় চেয়ে পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ বিচারক হরদীপ কাউরের কাছে এই মর্মে আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২২ ডিসেম্বর এই আবেদনের শুনানি হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ২২ ডিসেম্বর নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স প্রধান অমিত চক্রবর্তীর বিচার বিভাগীয় মেয়াদ শেষ হবে। ওইদিনই পরবর্তী শুনানির জন্য তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত অক্টোবর মাসের ৩ তারিখ গ্রেপ্তার করা হয় নিউজক্লিক-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স প্রধান অমিত চক্রবর্তীকে। এঁদের বিরুদ্ধে আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশান) অ্যাক্ট-এর ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয় নিউজক্লিক পোর্টালটি চিনপন্থী প্রচার করার জন্য বিদেশ থেকে অর্থ পেয়েছে। যদিও নিউজক্লিক-এর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

সম্প্রতি, আদালত এই বিষয়ে তদন্তের জন্য বাজেয়াপ্ত করা তাঁর ইলেকট্রনিক দ্রব্যাদি ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রবীর পুরকায়স্থের করা আবেদন খারিজ করেছে। বিচারক এই পর্যায়ে এই আবেদনের অনুমতি দেবার যথেষ্ট যুক্তি নেই জানিয়ে এই আবেদন খারিজ করেন।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর এক নির্দেশে আদালত ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবীর পুরকায়স্থ ও অমিত চক্রবর্তীর বিচার বিভাগীয় হেফাজত বাড়িয়েছিল।

প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তী দু’জনেই পুলিশ কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা ইলেকট্রনিক দ্রব্যাদি ফেরত চেয়ে এবং জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন।

গত ১৭ নভেম্বরের শুনানিতে অমিত চক্রবর্তীর আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন সংস্থায় তার মাত্র ০.০৯ শতাংশ অংশ রয়েছে এবং সাংবাদিকতা বা পরিচালনায় তার কোনও ভূমিকা নেই।

এরপর ২৫ অক্টোবর, বিশেষ বিচারক এই দুজনকে পুলিশি আবেদনের ভিত্তিতে হেফাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ আদালতকে জানিয়েছিল তাদের প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তীকে সাক্ষী এবং উদ্ধার করা ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। পাঁচ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদের আদালতে পেশ করা হয়।

পুলিশের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অতুল শ্রীবাস্তব আদালতকে জানান যেহেতু জিজ্ঞাসাবাদ এখনও চলছে তাই তাঁদের এখনও হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।

দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল গত ৩ অক্টোবর পুরকায়স্থ ও চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতারের একদিন পর ৪ অক্টোবর বিশেষ বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপর দুজনেই পুলিশি হেফাজতকে  চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গেলে হাইকোর্ট সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।

পুলিশ রিমান্ডকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের আবেদন খারিজ করার বিরুদ্ধে পুরকায়স্থ এবং চক্রবর্তী – দু’জনেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ১৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশকে নোটিশ জারি করে।

প্রবীর পুরকায়স্থের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল হাইকোর্টে জানান যে "সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা এবং একটি পয়সাও চীন থেকে আসেনি।"

৩ অক্টোবর, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল দ্বারা নথিভুক্ত ইউএপিএ মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান, বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে, দিল্লি পুলিশ জানায় মোট ৩৭ জন সন্দেহভাজন পুরুষকে অফিস চত্বরে এবং ৯ জন সন্দেহভাজন মহিলাকে তাদের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে যে ডিজিটাল ডিভাইস, নথি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বা পরীক্ষার জন্য আটক করা হয়েছে। স্পেশাল সেল নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারার অধীনে ১৭ অগাস্ট এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল।

আগস্ট মাসে, 'নিউ ইয়র্ক টাইমস'-এর এক প্রতিবেদনে নিউজক্লিককে অভিযুক্ত করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে যে মার্কিন মিলিয়নেয়ার নেভিল রয় সিংহমের সাথে যুক্ত একটি নেটওয়ার্ক-এর মাধ্যমে নিউজক্লিককে চিন সংক্রান্ত প্রচারের জন্য টাকা দেওয়া হত।

প্রবীর পুরকায়স্থ, ফাইল ছবি
সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষায় রাষ্ট্রপতিকে চিঠি মিডিয়া সংগঠনগুলির
প্রবীর পুরকায়স্থ, ফাইল ছবি
Press Freedom: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার দাবিতে প্রধান বিচারপতিকে ১৮ মিডিয়া সংগঠনের খোলা চিঠি

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in